নোট বই
সুকুমার রায়
১ একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
১. ১নোট বই কী ধরনের লেখাতে ভরা?
উঃ নোট বই ‘কিলবিল’ সব লেখাতে ভরা।
১.২ বক্তা কী করে নিজে নিজে নোট বইটি লিখলেন?
উঃ বক্তা অর্থাৎ বাচ্চা ছেলেটি যেখানে যা যা ভালো ভালো কথা শোনে সেগুলি সে নোটবইতে চটপট লিখে রাখে।
২ চটপট, চটচট, ছটফট, কটকট – এই শব্দগুলি কী ধরনের শব্দ? চটপট ও ছটফট এই দুটি শব্দ দিয়ে দুটি বাক্য লেখো।
উঃ চটপট, চটচট, ছটফট, কটকট – এই শব্দগুলি হল ধনাত্মক শব্দ। এরকম আরো কিছু শব্দদৈত্ব হল- ঝপঝপ, শনশন, কটকট ইত্যাদি।
চটপট– চটপট তৈরি হয়ে নিতে হবে যাতে ট্রেন ধরতে যেতে দেরি না হয়।
চটপট– কাজগুলি চটপট করে সেরে ফেলতে হবে।
ছটফট– ছেলেটি মাথার যন্ত্রণায় ছটফট করছিল।
ছটফট– শিশুটি বাইরে যাওয়ার জন্য ছটফট করছিল।
৩ নীচের বিশেশ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসাওঃ
বিশেষণ বিশেষ্য
ছোটো লন্ঠন
ঝাল লঙ্কা
চটচটে আঠা
৪ একি অর্থযুক্ত আরেকটি শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখোঃ পা, উত্তর, অস্থিরতার ভাব, তীক্ষ্ণতা
পা- ঠ্যাং’
উত্তর- জবাব
অস্থিরতার ভাব – ছটফট
তীক্ষ্ণতা- ঝাঁজ
৫ শুণ্য স্থান পুরণ কর
বিশেষ্য বিশেষণ
আঠা আঠালো
মানস মানসিক
৬ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো
৬.১ “ ভালো কথা শুনি যেই চটপত লিখি তাই” বক্তা কোন কোন ভালো কথা নোটবইতে লিখে রেখেছেন?
উঃ বক্তা অর্থাৎ বাচ্চা ছেলেটি তার নোটবইয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ও তার উত্তর লিখেছিল। যেমন ফড়িঙের কটা ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙ্গুলে আঠা লাগলে চটচট করে কেনো, কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে ইত্যাদি।
৬.২ “ কাল থেকে মনে মোর লেগে আছে খটকা” – কাল থেকে কি খটকা লেগে আছে? এই খটকা কীভাবে দূর হবে?
উঃ ছেলেটির মনে সন্দেহ জেগেছিল যে ঝোলাগুড় কিসে দেওয়া হয়। সে জানতে ইচ্ছুক ছিল যে সাবান না পটকা কিসে ঝোলাগুড় ব্যবহার করা হয়।
এই প্রশ্নের উত্তর সে মেজদাকে খুচিয়ে অর্থাৎ বিরক্ত করে জেনে নেবে তাহলেই তার মনের খটকা দূর হবে।
৬.৩ ‘বলবে কি তোমরা ও নোট বই পড় নি’ – নোটবই পড়লে আর কি কি জানা যাবে?
উঃ নোটবই পড়া থাকলে অনেক অদ্ভুত ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে। যেমন আমাদের পেটে কেনো যন্ত্রণা হয়, জোয়ানের আরকে এত ঝাঁজ কেনো, তেজপাতায় কীসের তেজ আছে, লঙ্কা ঝাল কেনো, নাক ডাকে কেনো, অরণি কে ইত্যাদি।
৭ নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
৭.১ ভালো কথা শুনলে কবিতার লোকটি কি করে?
উঃ ভালো কোন কথা শুনলে লোকটি সঙ্গে সঙ্গে তার নোটবইতে লিখে রাখে।
৭.২ তার শোনা কয়েকটি ভালো কথার নমুনা কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উঃ ছেলেটির শোনা কয়েকটি ভালো কথার কয়েকটি নমুনা হল- ফড়িঙের কটা ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙ্গুলে আঠা লাগলে চটচট করে কেনো, কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে ইত্যাদি।
৭.৩ কিলবিল, ছটফট, কটকট, টনটন এগুলো কী ধরনের শব্দ?
উঃ কিলবিল, ছটফট, কটকট, টনটন এগুলো ধনাত্মক শব্দ।
৭.৪ ‘ মাথাঘামানো’ এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ কি?
উঃ ‘ মাথাঘামানো’ এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ হল বুদ্ধি খাটিয়ে চিন্তাভাবনা করা।
৭.৫ ভালো কোন প্রশ্ন মনে এলে বক্তা কার সাহায্য নিয়ে সেগুলির উত্তর জেনে নেয়?
উঃ ভালো কোন প্রশ্ন মনে এলে বক্তা মেজদার সাহায্য নিয়ে সেগুলির উত্তর জেনে নেয়।
৭.৬ মানুষের কাছে নোটবই থাকাকে কি তুমি জরুরি বলে মনে করো?
উঃ প্রত্যেকটি মানুষের অবশ্যই নোটবই থাকা উচিত। কারণ তাতে মানুষ তার প্রয়োজনীয় ও জরুরি কথা লিখে রাখে । নানা অজানা তথ্য তাতে লিখে রাখলে জানের ভান্ডার বাড়বে।
৭.৭ তুমি যদি নোট বই কাছে রাখ তাতে কি ধরণের তথ্য লিখে রাখবে?
উঃ আমি যদি নোটবই কাছে রাখি তাহলে তাতে আমি আমার প্রয়োজনীয় কথা লিখে রাখব।
৭.৮ ‘জোয়ান শব্দটিকে দুটি অর্থে ব্যবহার করে আলাদা বাক্য লেখো।
উঃ জোয়ান ( হজমের মশলা)ঃ ভারী খাবারের পর জোয়ান খেয়ে নিলে হজমের সুবিধা হয়।
জোয়ান ( যুবক) ঃ জোয়ান ছেলেটি কঠোর পরিশ্রমী, তাই সে সফলতা লাভ করবে।
৭.৯ আগাগোড়া এমন বিপরীতার্থক শব্দের সমাবেশে তৈরী পাচটি শব্দ লেখ।
উঃ ভালমন্দঃ সমাজে ভালোমন্দ মিলিয়ে মিশিয়ে নানা চরিত্রের মানুষের দেখা মেলে।
দিনরাতঃ পরীক্ষার আগে সে দিনরাত পড়াশুনা করছে।
লাভক্ষতিঃ ব্যাবসাতে লাভক্ষতি উভয়ই হতে পারে।
আয়ব্যায়ঃ তার আয়ব্যায়ের কোন হিসাব নেই।
ছোটবড়োঃ ছোটবড় সবাইকে সমান চোখে দেখা উচিত।
৭.১০ কবিতাতে কোন কোন পতঙ্গের উল্লেখ আছে?
উঃ কবিতাতে দুটি পতঙ্গের উল্লেখ আছে- ফড়িং ও আরশোলা।
৭.১১ কবিতায় উত্থাপিত কোন কোন প্রশ্নের উত্তর তুমি জান?
উঃ কবিতায় উত্থাপিত অনেক প্রশ্নের উত্তর আমার জানা আছে, যেমন ফড়িঙের ছটা পা, আরশোলা নোংরা বাসি খাবার খায়, কাতুকুতু দিলে গোরুর অস্বস্তি হয় তাই সে ছটফট করে, যুদ্ধের সময় দামামা বা ঢাক বাজানো হয়।
৭.১২ কোন প্রশ্নগুলি পড়ে কবিতাটিকে তোমার কবির খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে?
উঃ কবিতাটিতে অনেক প্রশ্ন খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে। যেমন গোরুকে কাতুকুতু দিলে গোরু কেনো ছটফট করে , ঝোলাগুড় সাবানে দেয় না পটকায়, তেজপাতায় তেজ কেনো, লঙ্কায় ঝাল কেনো, ফোড়া কেন টনটন করে ইত্যাদি।
৮ নীচের শব্দগুলির গদ্যরুপ লেখো
উঃ তায় – তাতে
মোর – আমার
তেজপাতে- তেজপাতায়
৯ নীচের সর্বনামগুলিকে বাক্যে ব্যবহার কর
আমিঃ আমি প্রতিঞ্জা করেছি যে আমি আমার সব দায়িত্ব পালন করব।
মোরঃ মোর প্রানে গান জেগেছে এই ঘন বর্ষার সন্ধ্যায়।
কেঃ দরজায় কে কড়া নাড়ছে?
কারঃ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত কার লেখা?
কাকেঃ রাম ও রহিমের মধ্যে তুমি কাকে বেশি পছন্দ কর?
তোমরাঃ তোমরা আমার সঙ্গে গান শুরু করো।
নিজেঃ রাম নিজে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।
১০ বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে আর বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে লেখো;
বিশেষ্য | বিশেষণ |
মন | মানসিক |
চটচট | চটচটে |
জবাব | জবাবি |
পেট | পেটুক |
১১ নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুই অংশ সম্প্রসারন করে লেখ।
১১.১ ওরে রামা ছুটে আয় নিয়ে আয় লন্ঠন।
উঃ ওরে বোকা রামা তাড়াতাড়ি ছুটে আয় নিয়ে আয় কাচের লন্ঠন।
১১.২ এই দেখো ভরা সব কিলবিল লেখাতে।
উঃ এই দেখো খাতাটা ভরা সব ছবি আর কিলবিল লেখাতে।
১১.৩ জবাবটা জেনে নেবো মেজদাকে খুঁচিয়ে।
উঃ কঠিন জবাবটা জেনে নেবো বুদ্ধিমান মেজদাকে খুঁচিয়ে।
১১.৪ ঝাল কেন লঙ্কায়?
উঃ অনেক ঝাল কেন লাল লঙ্কায়?
১১.৫ বলবে কি তোমরা ও নোটবই পড়নি।
উঃ ঘরে গিয়ে বলবে কি তোমরা ও ভালো ভালো নোটবই পড়ো নি।
১২ নিম্ন- রেখ অংশগুলির কারক- বিভক্তি নির্দেশ কর।
১২.১ কাল থেকে মনে মোর লেগে গেছে খটকা।
অধিকরণ কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ
১২.২ ওরে রামা ছুটে আয়।
সম্বোধন পদে ‘শুণ্য’ বিভক্তি।
১২.৩ পেট কেন কামড়ায় বলো দেখি পারো কে?
কতৃকারকে শূণ্য বিভক্তি
১২.৪ নিজে নিজে আগাগোড়া লিখে গেছি আমি এ।
কতৃকারকে শূণ্য বিভিক্তি
১২.৫ এই বেলা প্রশ্নটা লিখে রাখি গুছিয়ে।
অধিকরণ কারকে শুন্য বিভক্তি
Very good 😊
good
Good ☺️