Home Classes Class 9 Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 9| Bengali | Part- 8 মডেল...

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 9| Bengali | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ নবম শ্রেণী |  বাংলা | পার্ট – ৮|

1
1078

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 9| Bengali | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

নবম শ্রেণী |  বাংলা | পার্ট – ৮|

৫০ Marks

. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখা

১.১ঈশান হল— ) উত্তরপূর্বকোণ  খ) উত্তর-পশ্চিম কোণ  গ) দক্ষিণ-পূর্ব কোণ  ঘ) পশ্চিম কোণ

.আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?’ – প্রশ্নটি করেছে

ক) সূচক  খ) জানুক  ) ধীবর  ঘ) রাজশ্যালক

.বন্ধুগণ হাসবেন না।একথা বলেছে।

) ইলিয়াস  খ) শাম-শেমাগি  গ) মহম্মদ শা  ঘ) মহম্মদ শার জনৈক আত্মীয়

.মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ। বক্তার লাভ হয়েছিল

ক) পাঁচ টাকা  ) দশ টাকা  গ) পনেরো টাকা  ঘ) কুড়ি টাকা

.নোঙরকবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত

ক) কুসুমের মাস  ) সাদা মেঘ কালো পাহাড়  গ) পাতাল কন্যা  ঘ) ছায়ার আলপনা।

. কমবেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে :

.প্রজা চমকিত।‘ – প্রজা চমকিত কেন ?

উ:- উদ্ধৃতাংশ টি কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি থেকে সংগৃহীত হয়েছে। যেটি চন্ডীমঙ্গল কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত।

প্রজারা চমকিত কারণ কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি বজ্রপাতের ফলে এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপরে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তা দেখে প্রজারা চমকৃত হয়েছিল।

. ধীবরবৃত্তান্তনাট্যাংশে ধীবরের বাড়ি কোথায় ?

উ:- মহাকবি কালিদাসের রচিত সংস্কৃত নাটক অভিজ্ঞানম শকুন্তলম থেকে আলোচ্য ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ টি সংগৃহীত হয়েছে। ধীবর শক্রাবতারে থাকে ।

. ইলিয়াস তো ভাগ্যবান পুরুষ‘- কারা একথা বলত?

উ:-  উদ্ধৃত বাক্যটি লিও টলস্টয় লেখা ইলিয়াস নামক গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। ইলিয়াসকে ভাগ্যবান বলতো ইলিয়াসের প্রতিবেশীরা।

.মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা।‘ – কখন এমনটি ঘটেছে?

উ:-উদ্ধৃত অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘দাম’ গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। কথকের মনে মাস্টারমশাইয়ের কথা এসেছিল যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে তার ছেলেবেলার গল্প লেখার ফরমাস এসেছিল।

. ____ বিরামহীন এই দাঁড় টানা।‘ – কবি দাঁড় টানাকেবিরামহীনবলেছেন কেন?

উ:- আলোচ্য অংশটি কবি অজিত দত্তের লেখা ‘সাদা মেঘ কালো পাহাড়’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত   ‘নোঙর’ কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।

কবি বিরামহীন দাঁড় টেনে নৌকাটিকে উদ্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান। দূর দেশে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে ব্যাকুল কবির মন অসংখ্য বন্ধনময় অবস্থাকে অতিক্রম করে অজানা লোকে পৌঁছতে চাই। তাই বৃথা প্রচেষ্টা জেনেও তিনি অবিরাম দাড় টেনে  চলেছেন।

. হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন‘ – কোন্চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন?

উত্তর:-সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত। লেখক দেখেছেন ভাষার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার প্রবেশ অব্যাহত। সেই প্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে হিন্দি সাহিত্যিকদের চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন। বহু হিন্দি সাহিত্যিক চেষ্টা করছেন হিন্দি ভাষার থেকে আরবি, ফার্সি ও ইংরেজি ভাষার শব্দগুলিকে বর্জন করার।

. এরই মাঝে বাংলার প্রাণ‘ – কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন?

উঃ- কবি জীবনানন্দ দাশ তার ‘আকাশের সাতটি তারা’ কবিতায় গ্রামবাংলার সাধারণ সন্ধ্যার প্রকৃতির মাঝে বাংলার প্রাণ খুঁজে পেয়েছেন।|বাংলার নরম ধানের গন্ধ, কলমি,চাঁদা -সরপুটি মাছেদের ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, কিশোরীর চাল ধোঁয়া ভিজে শীতল হাত,কিষোরের পায়ে দলা মুথাঘাস আর লাল লাল বঁট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতার মধ্যে বাংলার প্রাণের স্পন্দন ধ্বনিত হয়েছে।

. এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে‘ – পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী?

উঃ- মিস নোবেল ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যাদের মধ্যে অন্যতমা ও অগ্রগণ্যা। তার দ্বারা সংঘটিত  কল্যানমূলক কাজের বিবরণ শুনে স্বামী বিবেকানন্দের দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস নোবল-এর এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।

. যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া‘ – সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্দৃশ্য দেখা যাবে?

উঃ কবি নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর লেখা কবিতা আবহমান এ উঠানে দাঁড়ালে দেখা যায় ছোট্ট ফুল সন্ধ্যার বাতাসে দুলছে, আর দেখা যায় চিরকাল ধরে প্রায় একি রয়ে যাওয়া প্রকৃতির রূপ। না জানি কত লোক এসে ঘর বেঁধেছে, কতজন তারার মালায় নিজেদের স্বপ্ন বুনেছে । তারা হারিয়ে গেলেও আবহমান কাল ধরে সূর্য উঠছে, সন্ধ্যা নামছে।  চক্রাকারে আবর্তিত হওয়া জীবনের প্রবাহ দেখা যায় উঠানে দাঁড়িয়ে।

.১০ তোমার বাড়ি কোথায়?’ – রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল?

উঃ- রাধারানী গল্পে অজানা অচেনা লোকটি অন্ধকারে রাধারাণীকে বাড়ি কোথায় প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তরে সে জানায় যে সে শ্রীরামপুরে থাকে।

. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে :

.আমার বাণিজ্যতরী বাঁধা পড়ে আছেকোন্বাণিজ্যতরী? সেটি বাঁধা পড়ে আছে কেন?

উ:-উদ্ধৃত পঙ্কতিটি অজিত দত্তের লেখা ‘ নোঙর’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে কবির সাহিত্য আর কল্পনার ভাণ্ডারে পুর্ণ সৃষ্টি সম্ভারকে বাণিজ্য তরী বলা হয়েছে।

আমাদের জীবন জীবিকার জালে আটকে পরেছে,জীবনের নানা দায়িত্ব, কর্তব্যের টান যেন ভাঁটার টানের মতো অমোঘ।কিন্তু স্বপ্ন কল্পনা সাহিত্য ভরা-তরী নিয়ে কবি পাড়ি দিতে চান সাত সমুদ্র পাড়ে। দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে দিতে চান তাঁর সৃষ্টিকে। তাই এখানে বাণিজ্য তৈরীর প্রসঙ্গ এসেছে। এই তরী অসংখ্য বন্ধনে বাঁধা পড়ে আছে যা তরীকে নোঙরের মত অচল করে দিচ্ছে।

. সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।‘ – প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন?

উঃ- উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুজতফা আলির লেখা ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।

নতুন শব্দসৃষ্টির জন্য সংস্কৃত প্রথমে ধার করার কথা না ভেবে আপন ভাণ্ডারে অনুসন্ধান চালায়। সেখানকার কোনো ধাতু বা শব্দের অদলবদল ঘটিয়ে কিংবা পুরোনো ধাতু দিয়ে নতুন শব্দটি বানিয়ে নেওয়া যায় কিনা খুঁজে দেখে। অন্য কোনো ভাষা থেকে শব্দ ধার করলেও তার সংখ্যা খুবই কম।  তাই সেভাবে অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল নয় বলেই লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলে মনে করেছেন।

.আমি এই ঘাসে বসে থাকিকোন্ সময়ে কবি ঘাসে বসে থাকেন? তখন প্রকৃতির কেমন রূপ তার চোখে ধরা পড়ে?

:- জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘আকাশের সাতটি তাঁরা’ কবিতায় যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠে তখন কবি ঘাসের উপর বসে থাকেন । দিবসের অবসানে যখন সন্ধ্যা শান্ত , রমণীয় হয়ে বাংলার বুকে নেমে আসে, তখন কবি বুঝতে পারেন এক কেশবতী কন্যার আগমন বার্তা । সেই নারী যেন চুল দিয়ে জাম কাঠাল – হিজলের বনে স্নেহচুম্বন দেয় । তিনি টের পেয়ে যান নরম ধানের গন্ধ বা কলমির ঘ্রাণে , পুকুরের জলে বা হাঁসের পালকে পল্লিবাংলার আসল রূপ লুকিয়ে আছে ।

.নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।

উদ্ধৃতাংশে নটেগাছের প্রসঙ্গ উত্থাপনেআবহমানকবিতায়রূপকথা আবেশ কীভাবে রচিত হয়েছে, বিশ্লেষণ কর। 

উঃ- উদ্ধৃতাংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতার অংশ বিশেষ। বিগত শতক থেকেই ভোগবাদী জীবনের টানে গ্রামের মানুষ ধীরে ধীরে শহরমুখী হয়েছে। গ্রাম ছেড়ে তারা বাসা বেঁধেছে শহরে। শহরের জীবন তাদের হয়তো কিছু ভোগের উপকরণ দিতে পেরেছে, কিন্তু যা দিতে পারেনি, তা হল অনাবিল শান্তি ও সৌন্দর্য। গ্রাম জীবনের চিরন্তন সৌন্দর্য আর অনাবিল শান্তি কবির মনে বার বার জাগিয়েছে প্রত্যাবর্তনের বাসনা। কবির সেই সুপ্ত বাসনাই এই কবিতায় বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে। কবি বিশ্বাস করেন, গ্রামের এই জীবন কোনোদিন‌ও প্রাণহীন হয় না। এই জীবন যত‌ই পুরোনো হোক, কখনও মুড়িয়ে যায় না। রুপকথার  গল্প শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নটে গাছটি মুড়িয়ে যায়। তবে কবিতায় নটে গাছটি মুড়িয়ে যায় না, কিন্তু বুড়িয়ে যায়। এখানে ফিরতে পারলেই মিলবে এক পরিপূর্ণ আনন্দময় জীবনের আশ্বাস। এখানেই আছে আধুনিক শহুরে মানুষের সমস্ত যন্ত্রণার সুনিশ্চিত নিরাময়।

. .. আর আহারের সংস্থান রহিল না।

রাধারাণী তার মায়ের দুর্গতির চিত্ররাধারাণীপাঠ্যাংশে কীভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা উদ্ধৃতাংশের আলোকে আলোচনা কর। 

:- রাধারাণীর পিতা বিত্তবান হলেও আকস্মিক তার মৃত্যুর পর জনৈক মামলাবাজ জ্ঞাতির কারণে স্বামীর বাড়ি ভদ্রাসন থেকে বিতাড়িত সম্পূর্ণ সহায়সম্বলহীন রাধারাণীর মা ও রাধারাণীর কথাই উদ্ধৃতিটিতে বলা হয়েছে । রথযাত্রার আগে রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল , একেবারেই শয্যাশায়ী । এই অবস্থায় কাজ করা সম্ভব নয় । অন্যদিকে রাধারাণী ছোটো, তার পক্ষেও উপার্জন অসম্ভব । ঘরেও সঞ্চিত আহার্য নেই , তাই তাদের আর আহার চলে না ।

. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখা (কমবেশি ১৫০ শব্দ) :

. নিরবধি সাতদিন বৃষ্টি নিরন্তর।‘ – এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কলিঙ্গবাসীর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিল তা আলোচনা করো।

উ:- চন্ডীমঙ্গলের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত অভয়ামঙ্গল থেকে নেয়া কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটিতে কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কলিঙ্গদেশে অবিরাম সাতদিনের বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলে ঘোর তান্ডব। সমগ্র দেশ জলে প্লাবিত হয় শস্য ক্ষেতের বিপুল ক্ষতি হয়। বৃষ্টিতে প্রজাদের ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রবল বর্ষণের সঙ্গেই অসংখ্য শিল পরতে থাকে। ভাদ্র মাসের তালের মত বড় শিলার আঘাতে ঘরের চাল ভেঙে যায়। দেবী চণ্ডীর আদেশে পবন পুত্র বীর হনুমান ঝড় উঠিয়ে কলিঙ্গদেশে ধ্বংসলীলা চালান। তার দাপটে মঠ, অট্টালিকা সব ভেঙে খান খান হয়ে যায়। দেবীর আদেশের নদনদী কলিঙ্গদেশের দিকে ধেয়ে আসে। বিরাট বিরাট ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর মাটিতে পড়ে যায়। জলে-স্থলে একাকার হয়ে গিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সাপ আশ্রয় হারিয়ে ফেলে ভেসে বেড়ায়। কলিঙ্গদেশের স্থলভূমি জলে পূর্ণ হয়। প্রজারা শঙ্কিত হয়ে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ঋষি জৈমিনি স্মরণ করতে থাকে। ঘন কালো মেঘের আড়ালে সূর্য মুখ লুকায়। সাতদিনের অবিরাম বৃষ্টি তে শংকিত ও বিপদগ্রস্ত কলিঙ্গদেশের প্রজাদের দুর্দশার চরমে ওঠে।

.চিঠিঅনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত অনুগামীদের পরিচয় দাও। 

উঃ‘স্বামীজি চিঠিতে যে সমস্ত বিদেশি ও বিদেশিনীদের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রথমেই তিনি তাঁর মিস নোবেল-এর কথা লিখেছেন|তাঁকেই তিনি চিঠিটি লিখেছেন। মিস মার্গারেট নোবেল স্বামীজির কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তারই আদর্শে ভারতের নারীসমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেন। কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যেটির নাম ‘নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়।

মি স্টার্ডি স্বামী বিবেকানন্দের একজন ইংরেজ ভক্ত যিনি ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে স্বামিজীকে সাহায্য করেন।

মিস হেনরিয়েটা মুলার স্বামীজিকে বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। মিস মুলারের বাড়িতে স্বামীজি কিছুদিন অতিথি হিসাবে ছিলেন। স্বামীজি বলেছেন যে, তার কিছুটা রুক্ষ মেজাজ ও অস্থিরচিত্ত রয়েছে; তবে তিনি আবার সহৃদয় ও অমায়িক।

মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামীজি খুব প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেছেন, মিসেস সেভিয়ার খুবই স্নেহময়ী। তাঁর স্বামী ক্যাপটেন জে. এইচ. সেভিয়ার। এই সেভিয়ার দম্পতিই একমাত্র ইংরেজ যাঁরা এদেশীয়দের ঘৃণা করেন না। তবে এঁদের কোনো নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী নেই।

স্বামীজির দুজন বন্ধু হলেন মিস ম্যাকলাউড ও বস্টনের মিসেস বুল। তাঁরা খুবই উপকারি।  স্বামীজিকে নানান কাজে সাহায্য করেছেন ম্যাকলাউড, আর মিসেস বুল বেলুড় মঠ স্থাপনে অনেক অর্থ সাহায্য করেছেন।

. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ (কমবেশি ১৫০ শব্দ) :

কর্ভাস যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম।প্রোফেসর শঙ্কু কীভাবে সেই প্রমাণ পেয়েছেন

:- প্রফেসর শঙ্কু তার দিনলিপিতে কর্ভাস বেশ কিছু দরকারি তথ্য লিপিবদ্ধ করেছেন। ২২ অক্টোববের দিনলিপিতে প্রফেসর শঙ্কু লিখেছেন, কর্ভাস এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়। বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতে একটি কাক মারা গেলে, সেখানে বহু কাকের সমাগম হলেও কর্ভাস তাদের সঙ্গে শামিল হয়নি। সে একমনে পেনসিল মুখে দিয়ে মৌলিক সংখ্যা লিখে চলেছে 2, 3, 5, 7, 11, 13 প্রভৃতি। এই দু-দিনের দিনলিপিতে কর্ভাসের শিক্ষানবিশের অনেক তথ্যই প্রকাশ করেছেন প্রফেসর শঙ্কু।

. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :

. ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের একটি উদাহরণ দাও। 

:- চল্ ( গমন করা ) + ই ( নীচ ) = চালি

. মৌলিক শব্দ বলতে কী বোঝ?

উ: যেসব শব্দকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না এবং যার সঙ্গে কোনো প্রত্যয়, বিভক্তি বা উপসর্গ যুক্ত থাকে না, তাদের মৌলিক শব্দ বলে।

উদাহরণ: মা, বাবা, গোলাপ, বই, হাত, আকাশ ইত্যাদি।

. নবগঠিত শব্দকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী?

উ: নবগঠিত শব্দকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলোর মধ্যে কিছু হলো অবিমিশ্র শব্দ যেমন অনিকেত, অতিরেক ইত্যাদি। আবার কিছু শব্দ ভিন্ন-ভিন্ন ভাষার উপাদানের সংযোগে গঠিত। এগুলোকে মিশ্র শব্দ বা সঙ্কর শব্দ বলে। যেমন : হেড [ ইং ] + পণ্ডিত [ বাং] = হেডপণ্ডিত। হেড + মৌলবী [ আরবী] = হেডমৌলবী। ফি [ ফারসী ] + বছর [ বাংলা ] ফি-বছর।

. তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ লেখো।

উ: চুরুট, চেট্টি, পিলে ইত্যাদি

. কাছের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে কোন্ সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়?

উ: সামীপ্যবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন – ইনি উনি, এটা সেটা, এই ওই ইত্যাদি।

. ভাবসম্প্রসারণ কর :

ধর্মের নামে মহ এসে যারে ধরে

অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।

উ:-  মানুষের জীবনে কর্মের পাশাপাশি ধর্ম হল একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু যখন ধর্ম যখন প্রকৃত শিক্ষার গন্ডিকে অতিক্রম করে, মানুষের মধ্যে মোহ সৃষ্টি করে তখন সে অন্ধের মত ধর্মের কুসংস্কার মেনে চলে। গোঁড়া ধর্ম অনুসরণকারী  কোনো প্রশ্ন না করেই ধর্মের অনুশাসন মেনে নেয় এবং তাঁর সংস্পর্শে থাকা সকলকে প্রভাবিত করে। তখন তাঁর তথাকথিত ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের জন্য, অপরকে শুধু তাড়না করে, কেউ প্রশ্ন করলে সদুত্তরের বদলে জোটে দুর্বার প্রতিরোধ।ধর্মের অন্ধকার নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে সচেতন হতে হবে। জাতি ধর্মের মুহতার জীবনসহ অন্য কারো জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন না করে দেয়। তাই ধর্মকে ধর্ম হিসেবে নেওয়া উচিত তাকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া কখনই উচিত নয়। আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করার জন্য ধর্মকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না।

Click here To Download The Pdf

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!