Home Uncategorized কার দৌড় কদ্দুর। সপ্তম শ্রেনী। প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Kar Dour Koddur| Class 7|...

কার দৌড় কদ্দুর। সপ্তম শ্রেনী। প্রশ্ন-উত্তর সমাধান| Kar Dour Koddur| Class 7| Question-Answer Solved|

7
2165

কার দৌড় কদ্দুর

শিবতোষ মুখোপাধ্যায়

ঠিক উত্তরটি নির্বাচন কর

১.১ উপনিষদে উক্তচরৈবেতিশব্দের অর্থ ( যাত্রা থামাও/ এগিয়ে যাও/ দাঁড়িও না)

উঃ এগিয়ে যাও

১.২ পৃথিবী যে নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে তা প্রথম বলেন ( গ্যালিলিও/ কোপারনিকাস/ সক্রেটিস)

উঃ কোপারনিকাস

১.৩ ভাস্কোডা গামা ছিলেন ( মার্কিন/ পোর্তুগিজ/ গ্রিক)

উঃ পোর্তুগিজ

১.৪ যে বৈজ্ঞানিক কারনেআপেল দৌড়ায় মাটির দিকেসেটি হল ( মাধ্যাকর্ষন/ প্লবতা/ সন্তরননিয়ম)

উঃ মাধ্যাকর্ষন

১.৫ আইনস্টাইন ছিলেন ( সপ্তদশ/ অষ্টাদশ/ উনবিংশ) শতাব্দীর মানুষ।

উঃ উনবিংশ

শুন্যস্থান পূরণ কর

২.১ এফিড ওড়ার সময় প্রতি সেকেন্ডে চারশো বার ডানা নাড়ায়।

২.২ গমন শক্তিকে বিচার করতে হয় সবসময় দৈহিক ওজনের মা হিসাব করে।

২.৩ গোবি মরুভুমিতে গ্যাজেলি নামে এক হরিণ আছে।

২.৪ মেরু প্রদেশে টারনস প্রতি বুছরে এগারো হাজার মাইল একবার উড়ে আসে আবার পরে ফিরে যায়।

২.৫ ATP  এঁর পুরো কথাটি হল এডিনোসিন ট্রাইফসফেট।

অতি সংক্ষিপ্ত আকারে নীচের প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও

৩.১ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো

উঃ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায় এমন দুটি প্রানী হল – অ্যামিবা ও প্যারামিসিয়াম।

৩.২শামুক চলে যাবার সময় রেখে যায় জলীয় চিহ্ন’- সেটি আসলে কি?

উঃ শামুক মাংসল পায়ের সাহায্যে চলাফেরা করে, আর চলার গতিকে সহজ করার জন্য তার দেহ থেকে এক বিশেষ তরল নির্গত হয়। এই তরলের জন্যই শামুকের গতিপথে জলীয় চিহ্ন থাকে।

৩.৩আমাদের নিজেদের শরীরের মধ্যে একরকমের ভবঘুরে সেল আছে’ – সেলটিকে ভবঘুরে বলা হয়েছে কেন?

উঃ ভবঘুরে কথার অর্থ হল যারা নানা স্থানে ঘুরে বেড়ায়। তেমনি আমাদের শরীরের একটি সেল শরীরের নানা স্থানে ঘুরে বেড়ায় দেহে প্রবেশ করা জীবানুকে ধ্বংস করার জন্য। তাই সেলটিকে ভবঘুরে বলা হয়েছে।

৩.৪নানা জাতের খরগোশের মধ্যে গতির তারতম্য দেখা যায়’ – কয়েকটি খরগোশের জাতির নাম লেখো।

উঃ কয়েকটি খরগোশের জাতির নাম হল – বেলজিয়ান হেয়ার, আমেরিকান চিনচিলা, সিল্ভার ফক্স , জ্যাক র‍্যাবিট ইত্যাদি।

৩.৫কোনো কোনো পতঙ্গ উরবার সময় তাদের ডানা প্রচণ্ড জোরে নাড়ে’ – তোমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গের নাম লেখ।

উঃ আমার চেনা কয়েকটি পতঙ্গ হল- প্রজাপতি, ফরিং, আরশোলা, মশা, মাছি ইত্যাদি।

৩.৬কত সামুদ্রিক জীব গা ভাসিয়ে মাইলের পর মাইল পাড়ি দেয় তার হিসাব আমরা রাখি না’ – কয়েকটি সামুদ্রিক জীবের নাম লেখ।

উঃ কয়েকটি সামুদ্রিক জীব হল – তিমি, হাঙ্গর, ডলফিন, জেলিফিস, অক্টোপাস ইত্যাদি।

৩.৭রক্ষে এই যে …’ লেখক কোন বিষয়টিকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন এবং কেনো?

উঃ লেখক জীবনে চলার গতিকে সৌভাগ্য বলে মনে করেছেন। পৃথিবীর কোন প্রানীই তার সেই উৎপত্তি কাল থেকে তার চলা থামায় নি। তাই পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ত্ব বজায় আছে, কারণ চলমানতাই জীবন, আর থেমে যাওয়াই মৃত্যুর সমান।

৩.৮ প্যারামিসিয়াম কীভাবে চলাফেরা করে?

উঃ প্যারামেসিয়াম নামক এককোশী প্রাণীর দেহে অসংখ্য চুলের মতো সরু সরু সিলিয়া আছে। হাজার দাড়ের সাহায্যে নৌকা যেমন গতি পায়, তেমনি প্যারামিসিয়াম ও তার অসংখ্য সিলিয়ার সাহায্যে এগোতে ও পিছোতে পারে।

৩.৯ প্যারামিসিয়াম ছাড়া দুটি এককোষী জীবের নাম বল।

উঃ প্যারামিসিয়াম ছাড়া দুটি এককোষী জীব হল- অ্যা মিবা ও ইউগ্লিনা।

৩.১০তার চলাফেরার ভঙ্গিটি ভারী মজারকার চলার ভঙ্গিতর কথা বলা হয়েছে?  তামজারকীভাবে?

উঃ  অ্যামিবার চলার ভঙ্গির কথা বলা হয়েছে।

             এককোষী অ্যামিবা তার দেহের খানিক প্রোটোপ্লাজম সামনে গড়িয়ে দেয়, ফলে সৃষ্টি হয় ক্ষনপদ। আর এই ক্ষনপদের সাহাজ্যেই সে প্রোটোপ্লাজমকে এগিয়ে দেয়। এই ভাবে তার কয়েক মিনিটে মাত্র কয়েক মিলিমিটার চলার মন্থর গতিকে লেখকের মজার বলে মনে হয়েছে।

৩.১১ গমনে সক্ষম মাছ গমনে অক্ষম প্রাণীর নাম লেখ

উঃ গমনে সক্ষম একটি গাছ হল- ক্ল্যামাইডোমোনাস, গমনে অক্ষম একটি প্রানী হল – স্পঞ্জ।

৩.১২ কয়েকটি হক জাতীয় পাখির নাম লেখো।

উঃ কয়েকটি হক জাতীয় পাখি হল চিল, ঈগল, শিকারী বাজ, প্যাঁচা।

৩.১৩ আফ্রিকার কি জাতীয় পাখি ওড়া ছেড়ে হাটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে?

উঃআফ্রিকার ইন জাতীয় পাখি কোন এক সময় উড়তে সক্ষম ছিল, কিন্তু এখন তারা ওরা ছেড়ে হাটায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে।

৩.১৪ ক্রমবিকাশের পথ পরিক্রমায় ঘোড়ার আঙ্গুলের কোন পরিবর্তন ঘটেছে?

উঃ ক্রমবিকাশের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে ঘোড়ার পূর্ব পুরুষদের এখনকার মতো পায়ে খুর ছিল না, পাঁচটি করে আঙ্গুল ছিল। কিন্তু বিকাশের পথে আঙ্গুলগুলি অবলুপ্ত হয়ে কেবল মাঝের আঙ্গুলটি খুরে পরিণত হয়েছে।

৩.১৫ পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন একটি নিশাচর প্রানীর নাম লেখো।

উঃ পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন একটি নিশাচর প্রাণী হল শেয়াল।

টীকা লেখঃ

হিউয়েন সাংঃ হিউয়েন সাং একজন চিনা পর্যটক যিনি বৌদ্ধধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে ভারতবর্ষে আসেন। ভারতে নালন্দা বৌদ্ধবিহারে তিনি পড়াশুনা করেন এবং ভারত থেকে স্বদেশে ফিরে তিনি ভারত ভ্রমণ বিষয়ক একটি গ্রন্থ লেখেন। তার এই গ্রন্থ থেকে তৎকালীন ভারতের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যায়।

শ্রীঞ্জান দীপঙ্করঃ আদিনাথ চন্দ্রগর্ভ ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে  বাংলাদেশের বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন।মাত্র উনিশ বছর বয়সেই নানা শাস্ত্র পাঠ করে ওদন্তপুরী মহাবিহার থেকে শ্রীঞ্জান উপাধি লাভ করেন।তার জ্ঞানের জন্য তিনি অতীশ উপাধি লাভ করেন। পালরাজা মহীপালের আমলে তিনি বিক্রমশীলা মহাবিহারের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। পরে তিব্বতে গিয়ে বহু ‘সংস্কৃত’ ও ‘পালি’ ভাষায় লেখা বৌদ্ধগন্থ ‘ভোট’ ভাষায় অনুবাদ করেন।

ভাস্কোডাগামাঃ ভাস্কো- ডা- গামা একজন পোর্তুগিজ পর্যটক। ইনি সমুদ্রপথে সুদুর ইউরোপ থেকে ভারত তথা প্রাচ্য দেশের পথ আবিষ্কার করে ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের কালিকট বন্দরে পৌছান।প্রাচি ও পাশ্চাত্যের মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য  তার এই ভারতে আগমণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।

শঙ্করাচার্যঃ কেরল রাজ্যের কালাদি গ্রামে ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে শঙ্করাচার্যের জন্ম হয়। তিনি অদ্বৈত বেদান্তের চর্চা করেন । মূল উপনিষদের ভাষ্য সহ বহু স্তোত্র তিনি রচনা করেছিলেন। পায়ে হেটে তিনি সমস্ত ভারতের উত্তর-দক্ষিণ- পূর্ব- পশ্চিম পরিভ্রমণ করেন ও চার প্রান্তে চারটি মঠ স্থাপন করেন।

নীচের প্রশ্ন গুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ

৫.১ প্রানী মাত্রকেই খাবার সংগ্রহ করতে হয়গাছ কীভাবে না দৌড়ে তার খাবার সংগ্রহ করতে পারে?

উঃ সবুজ ক্লোরোফিলযুক্ত গাছ সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে নিজেদের জন্য খাদ্য তৈরী করে। মূলের সাহায্যে গাছ মাটির নীচ থেকে খনিজ লবণ মিশ্রিত জল সংগ্রহ করে গাছের সবুজ পাতায় পাঠিয়ে দেয়।পরিবেশ থেকে সংগৃহিত কার্বন- ডাই- অক্সাইড, পাতার সবুজ ক্লোরোফিল ও সুর্যের আলোর উপস্থিতিতে পাতায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি হয়। তাই গাছকে খাদ্য সংগ্রহ করার জন্য আর চলা ফেরা করে বেড়াতে হয় না।

৫.২ প্রবন্ধে লেখক জানিয়েছেন যে খাবার সংগ্রহের কারণেইপ্রানীরা এক জায়গায় স্থানূ না হয়ে দিকে দিকে পরিভ্রমণ করে’ – তুমি কি এই মতটিকে সমর্থন কর? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

উঃ খাবার সংগ্রহের জন্যই প্রানীরা এক জায়গায় স্থাণু না হয়ে নানা স্থানে পরিভ্রমণ করে শিবতোষ মুখোপাধ্যায়ের এই মতটিকে আমি সমর্থন করি।

            কিন্তু শুধুমাত্র খাদ্য সংগ্রহের জন্যই প্রাণীরা ভ্রমণ করে না। আরো কয়েকটি কারণ যেমন- বাসস্থান খোজার জন্য,আত্মরক্ষার জন্য, বংশবিস্তারের জন্য এক কথায় অভিযোজনের জন্য প্রানীদের বিভিন্ন স্থানে পরিভ্রমণ করতে হয়। তবে যেহেতু প্রানীরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না তাই খাদ্যের সন্ধানও তার পরিভ্রমণ করার একটি কারণ এই বিষয়ে আমি লেখকের সঙ্গে একমত।

৫.৩গমনাগমনের প্রকৃত মাধুর্যতা আমাদের চোখে পড়ে সাধারণত উচ্চতর প্রানীর মধ্যে’- পাঠ্যাংশে উচ্চতর প্রানীদের গমনাগমনের মাধুর্য্য কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে তা আলোচনা কর।

উঃ লেখক পাঠ্যাংশে নানা উচ্চতর প্রানী যেমন চিতা, নেকড়ে, গ্যাজেলি হরিণ , কুকুর এদের গমন পদ্ধতির বর্ননা করেছেন। এই সব প্রানীদের দ্রুততার সঙ্গে তাদের গমন ভঙ্গিও বিচিত্র। ৩০ পাউন্ড ওজনের চিতা দৌড়ায় ঘন্টায় ৭০ মাইল, অথচ নেকড়ে চিতার সমওজনের হওয়া সত্ত্বেও ঘন্টায় মাত্র ৩৬ মাইল দৌড়ায়। হিপো ১৮০০ পাউন্ড ওজন নিয়ে ঘন্টায় ২০-৩০মাইল যেতে পারে। আবার গ্যাজেলি হরিণ ৮০ পাউন্ড ওজন নিয়ে ঘন্টায়  ৬০ মাইল দৌড়াতে পারে। কেউ পায়ের সাহায্যে , কেউ ডানায় ভর করে ও কেউ পাখনা ব্যবহার করে মাইলের পর ছুটে চলে, ওড়ে বা ভেসে বেড়ায়। এসব প্রানীদের গমনের কৌশল , শারীরিক গঠন, গতিবেগ বৈচিত্রে পূর্ণ।

৫.৪ পথে আমি যে গেছি’ – রবীন্দ্রসংগীতের অনুষঙ্গটি পাঠ্যাংশের কোন প্রসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে?

উঃ ‘ কার দৌড় কদ্দুর’ বিজ্ঞানমূলক প্রবন্ধে  শিবতোষ মুখোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রানীর বিচিত্র গমনের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বাগান শামুকের প্রসঙ্গ এনেছেন। শামুক তাদের প্রসারিত মাংসল পা দিয়ে চলে। চলার সময় পথে রেখে যায় একটা জলীয় পদচিহ্ন। এমন পদচিহ্ন দেখে কি মনে হতে পারে তা কৌতুকের সুরে জানাতে গিয়ে তিনি যুতসই তিনি রবীন্দ্রসঙ্গগীতের প্রসঙ্গ এনেছেন।

৫.৫এরকম মনে করলে ভুল হবে’ – কোন দুটি বিশয়ের ভুল সাপেক্ষে এমন মন্তব্য করা হয়েছে?

উঃ হালকা কোনো পাখির হাওয়ায় তীরের মতো ছুটে চলে যাওয়া, অপরদিকে অত্যধিক ওজন নিয়ে একটি হিপোর কাদা ভেঙ্গে থপথপ করে যাওয়া- এই দুইয়ের গমন প্রসঙ্গে আলোচয় মন্তব্যটি করা হয়েছে। আসলে গমনশক্তির বিচার করতে হয় সর্বদা দৈহিক ওজনের পরিমাণ হিসাব করে।

৫.৬ উচ্চতর জীবেদের পেশি কাজ করার ক্ষেতের কীভাবে শক্তি উৎপাদিত হয়?

উঃ উচ্চতর জীবকুল পেশিসঞ্চালনে তার গমন অঙ্গ নাড়াতে পারে। আর এই পেশি যখন কাজ করে তখন এডিনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) নামক রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়ায় শক্তি উৎপন্ন হয়।

৫.৭ক্রমবিকাশের ইতিহাসে জানা যায়’- প্রসঙ্গে লেখক কোন তথ্যের অবতারণা করেছেন?

উঃ ক্রমবিকাশের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে ঘোড়ার পূর্ব পুরুষদের এখনকার মতো পায়ে খুর ছিল না, পাঁচটি করে আঙ্গুল ছিল। কিন্তু বিকাশের পথে আঙ্গুলগুলি অবলুপ্ত হয়ে কেবল মাঝের আঙ্গুলটি খুরে পরিণত হয়েছে। লেখক উদ্ধৃত অংশে এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছেন।

৫.৮মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ান’- এমন কয়েকজন মানুষের কথা লেখো যাদের শারীরিক অসুবিধা থাকলেও মনের দৌড়ে সত্যিই তারা প্রকৃত চ্যাম্পিয়ান হয়ে উথেছেন।

উঃ মনের দৌড়ে চ্যাম্পিয়ান এমন কয়েকজন মানুষ হলেন- স্টিফেন হকিং যিনি সম্পুর্ণ অথর্ব হওয়া সত্ত্বেও একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, হেলেন কেলার যিনি অন্ধ ও বধির হওয়া সত্ত্বেও সমাজসেবামূলক কাজে বিশ্বখ্যাতা। গ্রিক কবি হোমার ছিলেন অন্ধ, অথচ তার রচিত দুই মহাকাব্য ‘ ইলিয়াড’ ও ‘ওডিসি’ তাকে এনে দিয়েছিল বিশ্বখ্যাতি। একইভাবে বিথোফেন, ভ্যান গখ, সুধাচন্দ্রন, মাসুদুর রহমানের নাম করা যেতে পারে।

৫.৯মানুষ এখন শুধু নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়।‘- নিজের চলা ছাড়া বর্তমানে মানুষ কী কী জিনিস চালাতে সক্ষম?

উঃ মানুষ শুধু নিজেই চলে না সে চালকও। সে জলে চালায় ডুবোজাহাজ, জাহাজ, ট্রলার, স্টীমার আরো নানা জলযান। স্থলপথে চলছে বাস, লরি, গাড়ি, সেই সঙ্গে রেলপথে রেলগাড়ি ছুটিয়ে মানুষ নিমেষে দূর দুরান্তে পৌছাচ্ছে। মানুষ আকাশ ও জয় করেছে, চলছে প্লেন, জেট প্লেন। মহাকাশেও মানুষের পদচিহ্ন অঙ্কিত হয়েছে, রকেটে করে সে ভিন গ্রহে পাড়ি দিচ্ছে।

৫.১১ যাত্রা তোমার থামাও’ – লেখক কাকে একথা বলেছেন? এঁর কোন উত্তর তিনি কীভাবে পেয়েছেন?

উঃ লেখক শিবতোষ মুখোপাধ্যায় আলোচ্য মন্তব্যটি  পৃথিবীর উদ্দেশ্যে করেছেন।

            প্রবন্ধকার পৃথিবীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে তার এত চলার কী প্রয়োজন, সে কেনই বা এতো তাড়াহুড়ো করে ছুটে চলেছে? তার সেই প্রশ্নের উত্তরে পৃথিবী জানিয়েছিল যে থেমে যাওয়া মানে হল জীবনের শেষ। কারণ গতি হল বেঁচে থাকার প্রতীক।

Click here To Download The Pdf

7 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!