Wednesday, October 9, 2024
HomeUncategorizedষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়|খ্রীষ্টপূর্ব  ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ| Class 6 History|...

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়|খ্রীষ্টপূর্ব  ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ| Class 6 History| 5th Chapter|

ষষ্ঠ শ্রেণী ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়|

খ্রীষ্টপূর্ব  ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেশ

অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর সমাধান
১ সঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর
১.১ মহাজনপদ্গুলি  গড়ে উঠেছিল খ্রিস্ট পূর্ব ষষ্ঠ শতকে
১.২ গৌতম বুদ্ধ জন্মে ছিলেন শাক্য বংশে
১.৩ পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈন তীর্থঙ্কর
১.৪ আর্য সত্য বৌদ্ধ ধর্মের অংশ
২ ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মেলাওঃ
ক স্তম্ভ
খ স্তম্ভ
মগধের রাজধানী
রাজগৃহ
মহাকাশ্যপ
প্রথম বৌদ্ধ সঙ্গীতী
দ্বাদশ অঙ্গ
জৈন ধর্ম
হীন-যান মহাযান
বৌদ্ধ ধর্ম
৩.১ মগধ ও বৃজ্জি মহাজনপদ দুটির মধ্যে কি কি পার্থক্য তোমার চোখে পড়ে?
উঃ
মগধ জনপদ
বৃজি জনপদ
মগধ একটি রাজতান্ত্রিক মহাজন পদ
বৃজি একটি  অরাজতান্ত্রিক মহাজন পদ
একজন রাজার অধীনে থাকার কারনে এখানে শাসন ব্যবস্থা ও পরিবেশ খুবই শান্ত ও মনোরম ছিল
বৃজিতে কয়েকটি উপজাতির হাতে শাসন ক্ষমতা ভাগ করা ছিল
৩.২ কী কারনে মগধ শেষ পর্যন্ত বাকি জনপদ্গুলির থেকে শক্তিশালী হল? সেই কারণ গুলির মধ্যে কোনটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ?
উঃ ষোলোটি মহাজনপদের মধ্যে মগধ সব থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যা হল-
১ মগধ ছিল পাহাড় ও নদী দিয়ে ঘেরা একটি রাজ্য যার ফলে বাইরের শত্রুরা সহজে এই রাজ্য আক্রমন করতে সক্ষম ছিল না।
২ এই রাজ্যে প্রচুর লোহা ও তামার খনি ছিল ফলে মগধের রাজাদের অস্ত্র শস্ত্রের  কোন অভাব হত না।
৩ মগধের ঘন বনে প্রচুর হাতি পাওয়া যেত যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত।
৪ গঙ্গা নদীর পলিমাটি মগধের ভুমিকে উর্বর করে তুলেছিল, ফলে মগধ কৃষি কাজে যথেষ্ট উন্নত ছিল।
৫ জল পথে ও স্থলপথে মগধের বাণিজ্য চলত।
            আমার মতে পাহাড় ও নদী বেষ্টিত হওয়ার কারনেই মগধ বাইরের আক্রমণের থেকে সুরক্ষিত ছিল, তাই মগধ সকলের থেকে উন্নত হয়ে উঠেছিল।
 ৩.৩ সমাজের কোন  কোন  অংশের মানুষ নব্য ধর্ম আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন? কেন করেছিলেন?
উঃ সমাজে প্রচলিত সাধারণ্নিয়ম কানুনের থেকে মানুষের বিশ্বাস ক্রমশ উঠে যেতে থাকে।সমাজের লোকজন আর গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে চাইছিলেন না। ধর্মের নামে যাগযজ্ঞ ও আড়ম্বড় অনুষ্ঠান বেড়ে গেছিল। ব্রামণ ধর্মে সুদ নেওয়া নিষেধ ছিল। তাই বণিকরা তা ত্যাগ করতে চায়, ক্ষত্রিয়রা নিজেদের ব্রামণদের থেকে শক্তিশালী বলে দাবি করতে থাকে। এই ভাবে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ ব্রামণ্য ধর্মের পরিবর্তে নতুন ধর্মের খোঁজ করতে থাকে।
৩৪ জৈন ধর্মে ও বৌদ্ধ ধর্মে কি কি মিল ও অমিল তোমার চোখে পড়ে?
উঃ জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের মিল গুলি হলঃ
উভয় ধর্ম উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল।
উভয় ধর্মই বেদ মান্য করে।
উভয় ধর্ম কথ্য সহজ সরল ভাষার মধ্যে দিয়ে নিজেদের ধর্ম প্রচার করতে সফল হয়েছিল।
দুটি ধর্মেই রাজার অনুকূল্যতা লাভ করেছিল।
উভয় ধর্ম অহিংসতায় বিশ্বাসী ছিল।
উভয় ধর্মই ব্রামন্য ধর্মের আচার অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল।
জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের  অমিল গুলি হলঃ
জৈন ধর্ম
বৌদ্ধ ধর্ম
জৈন ধর্ম শুধু মাত্র ভারতবর্ষের মধ্যেই তার বিস্তার লাভ করেছিল।
বৌদ্ধ ধর্ম শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয় আশেপাশের দেশগুলির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
জৈন ধর্মে দিগাম্বর ও শ্বেতাম্বর নামে দুটি ভাগ ছিল।
বৌদ্ধ ধর্মে হীনযান ও মহাযান নামে দুটি ভাগ ছিল।
জৈন ধর্মে সংঘের কোন স্থান ছিল না।
বৌদ্ধ ধর্মে সংঘের স্থান ছিল।
অতিরিক্ত প্রশ্ন-উত্তরঃ
দু-এককথায় উত্তর দাও :-
১. জৈন ও বৌদ্ধদের আগে ব্রাক্ষ্মণদের ও ব্রাত্মণ্য ধর্মের বিরোধিতা করেছিলেন কারা?
উত্তর :- চার্বাক ও আজীবিক গোষ্ঠী।
 ২. কত খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুদ্ধদেবের মৃত্যু হয়?
উত্তর :- ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
 ৩. বজ্জিদের রাজধানীর নাম কী ছিল?
উত্তর :- বৈশালী।
 ৪. জনপদগুলির মধ্যে লড়াই-ঝগড়া কীসের ক্ষতি করেছিল?
উত্তর :- বাণিজ্যের।
 ৫. জনপদ কথার অর্থ কী?
উত্তর :- জনগণ যেখানে পদ বা পা রেখেছে।
৬. মল্লদের রাজ্য দুটির নাম কী ?
উত্তর :- পাবা ও কুশিনারা।
৭. আজীবিক গোষ্ঠী কে তৈরি করেছিলেন?
উত্তর :- মংখলিপুত্র গোসাল।
৮. বৌদ্ধরা হীনযান ও মহাযানে বিভক্ত হওয়ার আগেও দু-ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সেই ভাগগুলি কী কী?
উত্তর :- থেরবাদী ও মহাসাংঘিক।
 ৯. মহাবীরের কত বছর আগে পার্শ্বনাথ জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :- প্রায় আটশো বছর আগে।
১০. শেষ জৈন তীর্থংকরের নাম কী ?
উত্তর :- মহাবীর।
 ১১. পার্শ্বনাথ কে ছিলেন?
উত্তর :- ২৩-তম তীর্থংকর।
১২. কোন মৌর্যসম্রাট শেষ জীবনেজৈন ধর্মগ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর :- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
 ১৩. ধর্মপ্রচারের পূর্বে মহাবীর কী করেছিলেন?
উত্তর :- কঠোর তপস্যা।
১৪. ভারতীয় উপমহাদেশে কবে মহাজনপদের সৃষ্টি হয়েছিল?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে।
১৫. ভারতে কটি মহাজনপদের অস্তিত্বের কথা জানা যায়?
উত্তর :- ১৬টি।
১৬. মগধ শক্তিশালী জনপদে পরিণত হওয়ার একটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর :- মগধের ভৌগোলিক অবস্থান।
১৭. কোন পথে মগধের বাণিজ্য চলত?
উত্তর :- জল ও স্থলপথে।
১৮. বেশিরভাগ মহাজনপদগুলি ভারতের কোন দিকে অবস্থিত ছিল?
উত্তর :- উত্তর দিকে।
 ১৯. ষোড়শ মহাজনপদ কমে কোন চারটি মহাজনপদ অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল ?
উত্তর :- অবন্তি, বৎস, কোশল, মগধ ।
২০. সাধারণ মানুষ কোন ধর্মের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ?
উত্তর :- বৈদিক ধর্ম।
২১. মহাজনপদগুলির কথা কী থেকে জানা যায়?
উত্তর :- বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্য থেকে।
 ২২. জন কী?
উত্তর :- গ্রামের থেকে বড়ো অঞ্চল।
 ২৩. মহাবীর কোথায় দেহত্যাগ করেন ?
উত্তর :- পাবা নগরে।
 ২৪. “জিন’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :- রিপুজয়ী বা জিতেন্দ্রিয়।
 ২৫. জনপদগুলি কীভাবে পরিচিত হত ?
উত্তর :- শাসক বংশের নামে।
২৬. জনপদগুলি কীসে পরিণত হয় ?
উত্তর :- মহাজনপদে।
২৭. ত্রিপিটকের গল্পগুলিকে কী বলা হয়?
উত্তর :- জাতক।
২৮. সেরিবান ও সেরিবা গল্পটি কোন্ জাতক থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর :- সেরিবানিজ-জাতক থেকে।
 ২৯.মগধ বলতে এখনকার কোন অঞ্চলকে বোঝায়?
উত্তর :- গয়া ও পাটনা জেলা।
৩০. বুদ্ধদেব কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :- কপিলাবস্তুতে।
৩১. মানুষ বৈদিক ধর্মের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার একটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর :- জাতিভেদপ্রথার জন্য।
৩২. বুদ্ধদেব কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তর :- শাক্য বংশে।
৩৩. কত খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুদ্ধদেবের জন্ম হয় ?
উত্তর :- ৫৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
৩৪. গৌতম বুদ্ধ কোথায় দেহত্যাগ করেন?
উত্তর :- কুশিনগরে।
৩৫. কল্পসূত্র’ কার রচনা?
উত্তর :- জৈন শ্ৰমণ ভদ্রবাহুর।
৩৬. কার তত্ত্বাবধানে ত্রিপিটক রচিত হয়?
উত্তর :- বুদ্ধের অন্যতম শিষ্য মহাকাশ্যপের।
৩৭. চতুর্যামে ক-টি মূলনীতি ?
উত্তর :- চারটি।
৩৮. উত্তর ভারতে জৈনদের নেতা কে ছিলেন?
উত্তর :- স্থুলভদ্র।
৩৯. সিদ্ধার্থের নাম বুদ্ধ হয় কেন?
উত্তর :- বোধিলাভ করার জন্য।
৪০. জৈনরা কীসের ওপর জোর দিতেন?
উত্তর :- ত্রিরত্নের ওপর।
৪১. যে-গাছের নীচে বুদ্ধ তপস্যা করেছিলেন, সেই গাছকে কী বলা হয় ?
উত্তর :- বোধিবৃক্ষ।
৪২. বুদ্ধ কোথায় মারা যান ?
উত্তর :- কুশিনগরে।
৪৩. বৌদ্ধদের দুটি গাোষ্ঠীর নাম কী ?
উত্তর :- হীনযান ও মহাযান।
৪৪. সিদ্ধার্থ কোন গাছের নীচে বসে তপস্যা করেছিলেন?
উত্তর :- পিপুল গাছের নীচে।
৪৫. সিদ্ধার্থ কত বছর তপস্যা করেন ?
উত্তর :- প্রায় ছ-বছর।
৪৬. সুদ নেওয়া কোন্ ধর্মে নিন্দার বিষয় ছিল?
উত্তর :- ব্রাত্মণ্য ধর্মে।
৪৭. প্রাকৃত ভাষা ও সাহিত্য কীভাবে উন্নত হয়েছিল ?
উত্তর :- জৈন ধর্মের হাত ধরে।
৪৮. প্রথম বৌদ্ধ সংগীতিতে কে সভাপতিত্ব করেন?
উত্তর :- মহাকাশ্যপ।
৪৯. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি কোথায় হয়েছিল?
উত্তর :- পাটলিপুত্রে।
৫০. মহাবীর কোন বংশের সন্তান ছিলেন?
উত্তর :- লিচ্ছবি বংশের।
৫১. কত বছর বয়সে সিদ্ধার্থ সংসার ত্যাগ করেন?
উত্তর :-  মাত্র উনিশ বছর বয়সে।
৫২. ত্রিপিটক কী ?
উত্তর :- বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান গ্রন্থ।
৫৩. জৈনদের দুটি সম্প্রদায় কী ?
উত্তর :- শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর।
৫৪. ত্রিপিটককে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
উত্তর :- তিন ভাগে।
৫৫. চতুর্যাম মেনে চলার নির্দেশ কে দিয়েছিলেন?
উত্তর :- পার্শ্বনাথ।
৫৬. মগধ জনপদে মোট কতকগুলি রাজবংশ শাসন করেছিল?
উত্তর :- তিনটি রাজবংশ।
৫৭. বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক কে?
উত্তর :- গৌতম বুদ্ধ।
 ৫৮. তথাগত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :- যিনি সত্যের সন্ধান পেয়েছেন।
 ৫৯. জৈন ধর্মের মোট কতজন তীর্থংকর ছিল?
উত্তর :- চব্বিশ জন।
৬০. ‘বুদ্ধ’ কথার অর্থ কী?
উত্তর :- জ্ঞানী।
৬১. জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থংকরের নাম কী ?
উত্তর :- ঋষভনাথ বা আদিনাথ।
৬২. কোশল রাজ্যে গৌতম বুদ্ধ কত বছর ছিলেন?
উত্তর :- ২১ বছর।
৬২. জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর :- দ্বাদশ অঙ্গ।
৬৩. পঞ্চমহাব্রত কে প্রবর্তন করেন ?
উত্তর :- মহাবীর।
৬৪. অধিকাংশ মহাজনপদে কী ধরনের শাসন ছিল?
উত্তর :- রাজতান্ত্রিক শাসন।
৬৫. শাক্য সিংহ কে ছিলেন?
উত্তর :- বুদ্ধদেব।
৬৬. বুদ্ধের পূর্ব জীবনের কাহিনি সংবলিত গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর :- জাতক।
 ৬৭. ত্রিপিটক কোন্ ভাষায় লেখা?
উত্তর :- পালি ভাষায়।
৬৭. ধর্মচক্র প্রবর্তন কী ?
উত্তর :- বুদ্ধদেবের প্রথম ধর্মপ্রচারের ঘটনা ধর্মচক্র প্রবর্তন নামে পরিচিত।
 ৬৮. মহাভিনিষ্ক্রমণ কী?
উত্তর :- বুদ্ধের গৃহত্যাগের ঘটনা মহাভিনিষ্ক্রমণ নামে পরিচিত।
 ৬৯. দক্ষিণ ভারতে কোন মহাজনপদ অবস্থিত ছিল?
উত্তর :- অস্মক।
৭০. শেষ পর্যন্ত কোন মহাজনপদ শক্তিশালী হয়ে ওঠে?
উত্তর :- মগধ।
৭১. বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান লক্ষ্য কী?
উত্তর :- নির্বাণলাভ করা।
 ৭২. সিদ্ধার্থের পূর্ব নাম কী ছিল?
উত্তর :- গৌতম।
৭৩. মহাবীর কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :- লিচ্ছবি বংশে।
 ৭৪. বুদ্ধদেব যেখানে সিদ্ধিলাভ করেন তার নাম কী?
উত্তর :- বুদ্ধগয়া (গাছটি বোধিবৃক্ষ নামে পরিচিত)।
৭৫. গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর :- কপিলাবস্তুর লুম্বিনী উদ্যানে।
৭৬. মহাপরিনির্বাণ কী?
উত্তর :- বুদ্ধের দেহত্যাগকে মহাপরিনির্বাণ বলে
২ নম্বরের প্রশ্ন
. কীভাবে মহাজনপদের সৃষ্টি হয়েছিল ?
উত্তর :- ব্যাবসাবাণিজ্যের বিকাশ, উদ্যমী শাসকদের ক্রিয়াকলাপ প্রভৃতি কারণে জনপদগুলিতে লোকবসতি বাড়তে থাকে। আয়তন ও ক্ষমতার দিক থেকে বৃদ্ধি পেয়ে জনপদগুলি মহাজনপদে পরিণত হয়।
 . ষোড়শ মহাজনপদ কাকে বলে ?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে কাবুল থেকে গোদাবরী নদীর তীর পর্যন্ত ১৬টি যে-বড়ো বড়ো রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল, তাদেরকে একত্রে ষোড়শ মহাজনপদ বলে।
 . বৈদিক যুগের রাজাদের তুলনায় ষোড়শ মহাজনপদের রাজাদের মধ্যে পার্থক্য কী ছিল ?
উত্তর :- বৈদিক যুগের রাজাদের তুলনায় ষোড়শ মহাজনপদের রাজাদের মধ্যে পার্থক্যগুলি নিম্নলিখিত
() বৈদিক যুগের রাজাদের তুলনায় ষোড়শ মহাজনপদের রাজাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি অনেক বেশি ছিল।
() ষোড়শ মহাজনপদের রাজাদের সম্পদ তুলনামূলকভাবে বৈদিক যুগের রাজাদের থেকে অনেক বেশি ছিল।
 . জনপদ শব্দটি কীভাবে এসেছিল ?
উত্তর :- প্রাচীন ভারতে জনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল ছোটো ছোটো রাজ্য। এই জন শব্দ থেকেই এসেছিল জনপদ।
 . কোন্ সময় থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে জনপদের কথা জানা যায় ?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের গোড়ার দিকে ভারতীয় উপমহাদেশে জনপদের কথা জানা যায়।
 . জনপদগুলি আস্তে আস্তে কীসে পরিণত হয় ?
উত্তর :- জনপদগুলি আস্তে আস্তে মহাজনপদে পরিণত হয়।
 . মহাজনপদ কাকে বলা হয় ?
উত্তর :- জনপদের থেকে আয়তন ও ক্ষমতায় বড়ো ভূখণ্ডই হল মহাজনপদ।
 . যেচারটি মহাজনপদ শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল সেগুলি কী কী?
উত্তর :- চারটি শক্তিশালী মহাজনপদ হল অবন্তী, বৎস, কোশল ও মগধ।
 . মূলত মহাজনপদগুলি কোথায় গড়ে উঠেছিল ?
উত্তর :- গঙ্গা-যমুনার উপত্যকাকে ভিত্তি করেই বেশিরভাগ মহাজনপদ গড়ে উঠেছিল।
 ১০. গঙ্গা উপত্যকায় মহাজনপদগুলি গড়ে উঠেছিল কেন ?
উত্তর :- কারণ গঙ্গা উপত্যকা ছিল সমতল, জনবহুল ও সমৃদ্ধশালী।
১১. অধিকাংশ মহাজনপদে কী ধরনের শাসন ছিল ? সেগুলিকে কী বলা হত ?
উত্তর :- অধিকাংশ মহাজনপদে ছিল রাজার শাসন বা রাজতান্ত্রিক শাসন।
সেই মহাজনপদগুলিকে বলা হত রাজতান্ত্রিক রাজ্য।
 ১২. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগে কোন্ অঞ্চলকে মগধ বোঝাত ?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের আগে দক্ষিণ বিহারের সামান্য এলাকাকে বলা হত মগধ।
 ১৩. গণরাজ্য কী ?
উত্তর :- কতকগুলি মহাজনপদ ছিল অরাজতান্ত্রিক। সেখানে কোনো রাজতন্ত্র ছিল না। সেগুলিকে বলা হত গণরাজ্য।
 ১৪. গণরাজ্যগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল ?
উত্তর :- সাধারণভাবে গণরাজ্যগুলিতে এক-একটি উপজাতি বাস করত। তারা নিজের নিজের রাজ্যে অরাজতান্ত্রিক শাসন বজায় রেখেছিল।
 ১৫. বজ্জি রাজ্যের অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর :- বজ্জি রাজ্য ছিল একটি শক্তিশালী রাজ্য। এই মহাজনপদটি ছিল মগধের কাছেই। এই জনপদের শাসনক্ষমতা ছিল কয়েকটি গোষ্ঠীর হাতে।
 ১৬. বজ্জিদের একজোট থাকার জন্য গৌতম বুদ্ধ কী করেছিলেন ?
উত্তর :- বজ্জিদের একজোট থাকার জন্য গৌতম বুদ্ধ কয়েকটি নিয়ম পালনের কথা বলেছিলেন। যা থেকে মনে হয় বজ্জিদের লিখিত আইন ছিল।
 ১৭. খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায় কেন?
উত্তর :- খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন আসে। বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করে। অন্যদিকে লোহার লাঙলের ব্যবহার বেড়ে যায়। ফলে ফসলের উৎপাদনও বেড়ে যায়।
 ১৮. কৃষকরা পশুবলির বিরোধী ছিল কেন ?
উত্তর :- চাষের জন্য গবাদি পশুর প্রয়োজন ছিল। তাই কৃষকরা যজ্ঞের জন্য পশুবলির বিরোধী ছিল।
 ১৯. সমাজের বিভিন্ন মানুষ ব্রাত্মণদের বিরোধিতা করেছিল কেন ?
উত্তর :- ব্রাক্ষ্মণদের তৈরি ধর্মীয় বিধিনিষেধে সাধারণ মানুষ ক্ষেপে গিয়েছিল। লোহার ব্যবহার ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। ফলে তারা ব্রাত্মণদের বিরোধিতা করতে শুরু করেছিল।
 ২০. নব্যধর্মের প্রভাবে কী পরিবর্তন এসেছিল ?
উত্তর :- নব্যধর্মগুলি ব্রাত্মণ্য ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল। সহজ-সরল জীবনযাপনের ওপর জোর দিয়েছিল।
 ২১. জৈন ধর্মে তীর্থংকর বলতে কী বোঝো?
উত্তর :- জৈন ধর্মের প্রধান প্রচারককে বলা হত তীর্থংকর। এই ধর্মে মোট চব্বিশজন তীর্থংকর ছিলেন। এঁদের মধ্যে শেষ দুজন হলেন পার্শ্বনাথ ও বর্ধমান মহাবীর।
 ২২. জৈন ধর্ম কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে ?
উত্তর :- প্রথম দিকে জৈন ধর্ম মগধ, বিদেহ, কোশল ও রাজ্যে প্রচলিত ছিল। সে আমলে জৈনদের প্রভাব বাড়তে থাকে। এমনকি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও জৈন ধর্ম এহণ করেন। পরে ওড়িশা থেকে মথুরা পর্যন্ত জৈন ধর্ম ছড়িয়ে পড়ে।
 ২৩. বুদ্ধ কে ছিলেন ?
উত্তর :- বুদ্ধ ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক। তার প্রথম নাম ছিল সিদ্ধার্থ। নেপালের তরাই অঞ্চলের কপিলাবস্তুর শাক্যবংশে সিদ্ধার্থের জন্ম হয়। তিনিও ক্ষত্রিয় বংশের মানুষ ছিলেন।
২৪. দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বুদ্ধ কী বলেছিলেন ?/ অষ্টাঙ্গিক মার্গ কী?
উত্তর :- দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বুদ্ধ আটটি উপায়ের কথা বলেছিলেন, সেই আটটি উপায়কে একত্রে বলা হয় অষ্টাঙ্গিক মার্গ।
২৫. বৌদ্ধ ধর্মসংগীতিগুলিতে কী হত ?
উত্তর :- বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে ধর্মসংগীতিগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।ধর্মসংগীতি অনেকটা ধর্মসম্মেলনের মতো ছিল। এই সংগীতিতে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা মিলিত হতেন। এগুলিতে বৌদ্ধ ধর্মের নানা বিষয় আলোচনা হত।
 ২৬. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতিতে কী হয়েছিল ?
উত্তর :- তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতিতে বৌদ্ধ সংঘের নিয়মগুলি কঠোর ভাবে মানার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। এতে সংঘের মধ্যে ভাঙন আটকানোরও চেষ্টা করা হয়।
 ২৭. মহাযান কাদের বলা হয় ?
উত্তর :- বৌদ্ধদের মধ্যে যারা মূর্তিপুজো করতেন, তাঁদের বলা হত মহাযান।
 ২৮. কোন বৌদ্ধ সংগীতিতে হীনযান মহাযানরা চুড়ান্ত ভাবে আলাদা হয়ে যায় ?
উত্তর :- চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতিতে হীনযান ও মহাযানরা চূড়ান্ত ভাবে আলাদা হয়ে যায়।
 ২৯. বিনয়পিটকের বিষয়বস্তু কী ?
উত্তর :- বিনয়পিটকে বৌদ্ধ সংঘের ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আচারআচরণের নিয়মাবলি লেখা আছে।
 ৩০. বৌদ্ধ ধর্মে ত্রিরত্ন কী ?
উত্তর :- বৌদ্ধ ধর্মে গৌতম বুদ্ধ প্রধান ব্যক্তি। তাঁর প্রচারিত ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম, আর বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের দায়িত্ব বৌদ্ধ সংঘের, তাইবুদ্ধ, ধম্মও সংঘ-এইতিনটি হল বৌদ্ধ ধর্মের ত্রিরত্ন।
 ৩১. মধ্যপন্থা কী?
উত্তর :- বুদ্ধের কঠোর তপস্যা নির্বাণ বা মুক্তিলাভের উপায় নয়, আবার চূড়ান্ত ভোগবিলাসেও মুক্তি পাওয়া যায় না, বুদ্ধ তাই মধ্যপন্থা পালনের কথা বলেছেন।
 ৩২. মহাবীর বুদ্ধ ধর্মপ্রচারের জন্য নগরগুলিতে যেতেন কেন ?
উত্তর :- নগরে নানা রকমের মানুষকে একত্রে পাওয়া যেত। তা ছাড়া ব্রাত্মণ্য ধর্মে নগরে যাওয়া বা থাকা পাপ বলে মনে করা হত। তাই ব্রাত্মণ্য ধর্মের বিরোধিতায় বুদ্ধ ও মহাবীর ধর্মপ্রচারের জন্য নগরগুলিতে যেতেন।
 ৩৩. জাতকের গল্পগুলির বৈশিষ্ট্য কী ছিল ?
উত্তর :- ত্রিপিটকের মধ্যে জাতক নামে কিছু গল্প আছে। এগুলি তাঁর পূর্বজন্মের কাহিনি বলে বৌদ্ধরা মনে করেন। এগুলি পালি ভাষায় বলা ও লেখা হত। কেবল মানুষ নয়, পশুপাখিরাও জাতকের চরিত্রে স্থান পেয়েছে। এগুলি থেকে সেকালের সমাজের নানা কথা জানা যায়
 ৩৪. মগধের উত্থানের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর :- মগধের উত্থানের দুটি কারণ হল—
() মগধের ভৌগোলিক অবস্থান একে প্রাকৃতিক সুরক্ষা ও সম্পদ দিয়েছিল ।
() মগধের উদ্যমী রাজাদের কৃতিত্বে মগধ শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত হয়েছিল।
 ৩৫. রাজতান্ত্রিক রাজ্য প্রজাতান্ত্রিক রাজ্যের মধ্যে তুমি কাকে বেশি পছন্দ করবে এবং কেন করবে ?
উত্তর :- অবশ্যই প্রজাতান্ত্রিক রাজ্যকে। কারণ— () প্রজাতন্ত্রে জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
() রাজার স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম থাকে।
 ৩৬. নব্যধর্ম কী সত্যিই নতুন ধর্ম ছিল ?
উত্তর :- অনেকের মতে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম সম্পূর্ণ নতুন ধর্মমত ছিল না। কারণ বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের মূল সূত্রগুলি বেদের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল।
 ৩৭. নব্যধর্মের কোন্ আদর্শগুলি জনগণের কাছে আকর্ষণীয় ছিল ?
উত্তর :- ধর্মাচরণের সহজ, সরল পথা, ব্রাত্মণ্যদের প্রভাব না থাকা, যাগযজ্ঞ, পশুবলিপ্রথা না থাকা, জাতিভেদ প্রথা প্রভৃতি না থাকায় মানুষ নব্যধর্মের আদর্শগুলি গ্রহণ করেছিল।
 ৩৮. বর্ধমান পরবর্তীতে মহাবীর নামে পরিচিত হল, কেন ?
উত্তর :- বর্ধমান একটানা ১২ বছর কঠোর তপস্যা করে সর্বজ্ঞানী হন। তাই তাকে মহাবীর বলা হয়।
৩৯. চতুর্যামএর সঙ্গে মহাবীর কোন নীতিটি যোগ করেছিলেন ?
উত্তর :- চতুর্যামের সঙ্গে মহাবীর ব্রম্মচর্য বা জিতেন্দ্রিয়তা নীতি যোগ করেছিলেন। এইটি যোগ করায় পঞ্চমহাব্রত-এর উদ্ভব হয়।
অতিরিক্ত বড় প্রশ্নঃ
১ গণ রাজ্যগুলির পক্ষে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল কেন?
উঃ রাজতান্ত্রিক মহাজনপদ্গুলির সঙ্গে লড়াইয়ের ফলে  গনতান্ত্রিক মহাজনপদ্গুলি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যুদ্ধের জন্য অনেক সৈন্যের দরকার হত। সৈন্যদের জন্য অনেক খরচার দরকার হত। সেই খরচের অর্থ জোগাড় করা হত প্রজাদের উপর কর বসিয়ে। গণরাজ্যগুলিতে সেই বাড়তি কর জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। তাছাড়া সেগুলির মধ্যে গোষ্ঠী বিবাদ পাকিয়ে ওঠে। তাই গণরাজ্য গুলির পক্ষে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা মুস্কিল হয়ে ওঠে।
২ জৈন ধর্ম কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়েছিল?
উঃ গোড়ার দিকে জৈন্ ধর্ম মগধ, বিদেহ, কোশল ও অঙ্গরাজ্যের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল। মৌর্য যুগে জৈনদের প্রভাব বাড়তে থাকে। জানা যায় যে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে জৈন হয়ে যান। পড়ে ওড়িশা থেকে মথুরা পর্যন্ত জৈন ধর্ম ছড়িয়ে পড়ে ।
৩ দ্বাদশ অঙ্গ কি?
উঃ জৈন ধর্মের মুল উপদেশকে বারোটি ভাগে সাজানো হয়েছিল। সেই উপদেশগুলির এক একটি ভাগকে একেকটি অঙ্গ বলা হয়। এই বারোটি উপদেশকে আক সঙ্গে দ্বাদশ অঙ্গ বলে।
৪ ধর্ম চক্র প্রবর্তন কাকে বলে?
উঃ গৌতম বুদ্ধ জ্ঞান বা বোধি লাভ করার পরে বারাণসীর কাছে সারনাথে যান।সেখানে পাচজন সঙ্গীর মধ্যে তার উপদেশ প্রচার করেন। এই পাঁচজন তার প্রথম শিষ্য হয়েছিলেন। তাদের কাছে তিনি মানুষের জীবনের দুঃখের কারণগুলি ব্যাখা করেন। এই ঘটনাকেই ধর্ম চক্র প্রবর্তন বলে।
৫ টীকা লেখঃ ত্রিপিটক।
উঃ বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান গ্রন্থ হল তিপিটক বা ত্রিপিটক। সুত্তপিটক, বিনয়পিটক ও অভিধম্মপিটক এই তিনটি পিটক নিয়ে তিপিটক। সুত্ত পিটক হল গৌতম বুদ্ধ ও তার প্রধান শিষ্যদের উপদেশগুলির সংকলন। বিনয় পিটকে বৌদ্ধ সংঘ ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আচার আচরণের নিয়মগুলি আছে। অভিধম্ম পিটক গৌতম বুদ্ধের মূল কটি উপদেশের আলোচনা। এগুলি সবই পালি ভাষায় লেখা।
Click Here To Download  The Pdf
RELATED POSTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!