Model Activity Task 2021 Compilation(Final)
Class 7| Bengali | Part- 8
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১
সপ্তম শ্রেণী | বাংলা| পার্ট – ৮|
৫০ Marks
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ ‘পাগলা গণেশ’ গল্পে গণেশের বয়স
(ক) একশো বছর
(খ) দেড়শো বছর
(গ) একশো পঁচাত্তর বছর
(ঘ) দুশো বছর
১.২ কোকনদ’ হলো
(ক) শ্বেতপদ্ম
(খ) রক্তপদ্ম
(গ) নীলপদ্ম
(ঘ) হলুদ পদ্ম
১.৩ ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল’ – কবিতাটির রচয়িতা
(ক) আশরাফ সিদ্দিকী
(খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(গ) মদনমোহন তর্কালঙ্কার
(ঘ) যোগীন্দ্রনাথ সরকার
১.৪ শ্রদ্ধেয় রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রামকিঙ্কর বেইজের পরিচয় হয়
(ক) মেদিনীপুরে
(খ) বীরভূমে
(গ) বাঁকুড়ায়
(ঘ) কলকাতায়
১.৫ খোকনের বাড়ির সামনেই ছিল একটি
(ক) বটগাছ।
(খ) ইউক্যালিপটাস গাছ
(গ) নারকেল গাছ
(ঘ) বকুল গাছ
২. খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ ‘তা আপনার কবিতা শুনছেই বা কে আর পড়ছেই বা কে?’ – একথার উত্তরে শ্রোত কী বলেছিলেন?
উ:- উপরে উল্লেখিত লাইনটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা পাগলা গনেশ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নে উল্লেখিত প্রশ্নটি পাগলা গণেশ কে করা হয়েছিল।
এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রোতা অর্থাৎ পাগলা গনেশ বলেছিলেন যে, আকাশ, বাতাস ও প্রকৃতি তার কবিতা শুনছে। আর তার ভাসিয়ে দেওয়া কবিতার পাতা যদি কেউ আর তাদের পড়তে ইচ্ছা হয় তবে তারা পড়বে ।
২.২ My Native Land, Good night!”
– উদ্ধৃতিটি কার রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উ:- উদ্ধৃতিটি লাইনটি মাইকেল মধুসূদন রচিত বঙ্গভূমির প্রতি কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
My Native Land, Good night!’ – উক্তিটি বায়রনের লেখা।
২.৩ একুশের কবিতায় কোন্ কোন্ গানের সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে?
উ:- আশরাফ সিদ্দিকীর একুশের কবিতা নামক কবিতায় “পাখি সব করে রব” মাতৃভূমি বাংলাদেশ ভাটিয়ালি, জারী সারী এমনকি ছোটবেলায় মায়ের মুখে শোনার নানান গানের কলি প্রভৃতি সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে।
২.৪ ‘অত বড়ো একজন শিল্পীর কাছে শিক্ষালাভ করেছি, আমার সৌভাগ্য। – কার স্মৃতিচারণায় কথক একথা বলেছেন?
উ:- প্রশ্ন উল্লেখিত লাইনটি রামকিঙ্কর বেইজ রচিত আত্মকথা প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধৃতিটির বক্তা রামকিঙ্কর বেইজ শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়ের কলাভবনের আচার্য নন্দলাল বসুর তত্ত্বাবধানে ছবি আঁকা শিখেছিলেন । তার স্মৃতি চারণায় কথক একথা বলেছেন
২.৫ ‘খোকন অবাক হয়ে গেল। – কোন্ কথা শুনে খোকন অবাক হলো ?
উ:- লাইনটি বনফুল রচিত খোকনের প্রথম ছবি গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
খোকনের বাবার বন্ধু একজন বিখ্যাত চিত্রকর।তিনি খোকনের আঁকা ছবি দেখে তাকে প্রশ্ন করেছিলেন যে তার নিজের আঁকা ছবি কোথায় কারন সে সবই চারপাশ থেকে নকল করে এঁকেছে। এই কথা শুনেই খোকন অবাক হয়েছিল।
২.৬ ‘আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন।‘ – কোন্ কথার অবতারণালে বক্তার ‘ঠাট্টা‘ মনে হয়েছে?
উঃ বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী অসীমাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি লেক শ্রেভারের জল শুকিয়ে ফেলে মেঘ তৈরি করবেন, সেই মেঘ থেকে যদি বৃষ্টি হয় তবে তার ফলে হয়তো সাইবেরিয়াই এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমবে। তার এই অবাস্তব কথা শুনে অসীমার মনে হয়েছিল তিনি বুঝি ঠাট্টা করছেন।
২.৭ জেমস এইচ, কাজিন্স কে ছিলেন?
উঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময় অর্থাৎ ১৯১৯ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দক্ষিণ ভারত পরিক্রমা বেরিয়েছিলেন। সেখানে “থিয়সফিক্যাল কলেজ” এর অধ্যক্ষ এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধু ছিলেন জেমস এইচ, কাজিনস।
২.৮ ‘এ ছবি আমি পরেও দেখেছি।‘ – কোন্ দৃশ্যবর্ণনা প্রসঙ্গে একথা এসেছে?
উঃলেখক রামকুমার চট্টপাধ্যায় এক স্বদেশী সভায় প্রথমবার দেখেছিলেন মুখ ভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে কাজী নজরুল গান গাইছেন । এখানে এই দৃশ্যপটের কথা বলা হয়েছে, কবি নজ্রুলের এই একই ভঙ্গিতে গান গাওয়ার চিত্র লেখক পরেও দেখেছেন।
২.৯ ‘তাদের রাজত্ব হের অক্ষুণ্ণ কেমন‘ – কাদের রাজস্ব কেন অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন?
উঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কামিনী রায় প্রণীত স্মৃতিচিহ্ন নামাঙ্কিত কবিতায় কবি ব্যক্ত করেছেন যে, যারা মহান কার্য দ্বারা মানব সমাজের কল্যান করেছেন, সমাজ ও সংস্কৃতিকে তাদের অমর সৃষ্টি দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন তারা যুগের সীমানা পেরিয়েও মানুষের মনে অমর হয়ে রয়েছেন। তাই কালস্রোতেও তাদের সাম্রাজ্য অক্ষুন্ন রয়েছে।
২.১০ ‘নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া।‘ – কিষাণপাড়াকে ‘অমর‘ বলা হয়েছে কেন?
উঃ উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত “চিরদিনের’ কবিতা থেকে। কৃষকেরা নিরন্তর কাজ করে চলে।দুর্ভিক্ষের পরেও কিষাণপাড়ায় মানুষ আবার কাজের মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে। নিরবে তারা নিজ নিজ পেশায় কাজ করে চলে। দুর্ভিক্ষের হতাশা বা বিপন্নতা এখানে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারে না। তাই কিষাণপাড়াকে কবি অমর বলেছেন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৩.১ ‘জীবন হবে পদ্যময়
– জীবন কীভাবে পদ্যময় হয়ে উঠবে বলে কবি মনে করেন?
উ:- পঙ্কতিটি কবি অজিত দত্তের লেখা ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে। জ্যোৎস্না রাতে, ঝিঁঝিঁর ডাকে, নদীর স্রোতে, যন্ত্রের গতিতে, জাহাজ, নৌকা , ট্রেনের চলার তালে তালে ছন্দ লুকিয়ে আছে। কেউ যদি মন্দ কোথায় কান না দিয়ে, সব ঝগড়া বিবাদ ভুলে মন আর কান দিয়ে সব ছন্দ শোনে তাহলে পৃথিবীকে সে নতুনভাবে চিনবে। ফলে তার মনে ছন্দের যে আলোড়ন হবে তাতেই সে সহজেই কবিতা লিখতে পারবে।
৩.২ ‘কুতুব মিনারের কথা’ রচনাংশ অনুসরণে কুতুব মিনারের নির্মাণ শৈলীর বিশিষ্টতা আলোচনা করো। |
উঃ সৈয়দ মুজতফা আলির লেখা ‘ কুতুব মিনারের কথা’ পাঠ্যাংশে লেখক কুতুব মিনারের অদ্ভুত কারুকার্য ও গঠনশৈলীর কথা বিস্তারে আলোচনা করেছেন। কুতুব পাঁচতলার মিনার। প্রথম তলাতে বাঁশি ও কোণের নকশা রয়েছে। দ্বিতীয় তলাতে শুধু বাঁশি ও তৃতীয় তলাতে কোণের নকশা কাটা। এছাড়া মিনারের চারপাশে সারি সারি লতা পাতা ও ফুলের মালা চক্রের নকশা রয়েছে। নকশা গুলি হিন্দু রীতির । আবার মিনারের গায়ে আঁকা আরবী লেখা সাধারণত মুসলমানদের ভাষা হলেও সেগুলি হিন্দু শিল্পীরাই এঁকেছেন। এই মিনারটির সৃষ্টি কার্যে হিন্দু মুসলমান মিলে অদ্ভুত সাফল্য দেখিয়েছিল।
৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৪.১ খাঁটি দেশই শব্দ বলতে কি বোঝ?
উঃআর্যরা ভারতে আসার আগে যে সব প্রাগার্য মানুষেরা ভারতে ছিলেন তাদের ভাষার কিছু শব্দ এখনও রয়ে গেছে। উৎপত্তির দিক থেকে এগুলি যাতে অস্ট্রিক ,দ্রাবিড় বা মঙ্গোলয়েড। তবে এরাই বাংলা শব্দভাণ্ডারের সবচেয়ে প্রাচীন শব্দ। এদেরই খাঁটি দেশি শব্দ বলে। যেমনঃ তেঁতুল, চিংড়ি, মাঠ
৪.২ তদ্ভব শব্দ কিভাবে গড়ে ওঠে?
উঃকিছু কিছু সংস্কৃত শব্দ দীর্ঘ সময় ধরে ভাষাগত বিবর্তনের পথে প্রাকৃত , অপভ্রংশ ইত্যাদি স্তরের মধ্যে দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে তদ্ভব শব্দের রুপ ধারণ করেছে। এভাবেই তদ্ভব শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান নিয়েছে।
৪.৩ অর্ধ -তৎসম বা ভগ্ন- তৎসমের দুটি উদাহরণ দাও।
উঃ কৃষ্ণ > কেষ্ট
বিষ্ণু > বিষ্টু
৪.৪ ‘ বাঙালি পদবীর ইংরেজি ধরনের উচ্চারনে হ্রস্বস্বর চিহ্ন হবে” –উদাহরণ দাও।
উঃ গাঙ্গুলি ( গাঙ্গুলী নয়)
ব্যানার্জি ( ব্যানার্জী নয় )
৪.৫ তদ্ভব ও অর্ধ তৎসম শব্দের পার্থক্য একটি উদাহরণ সহ বুজয়ে দাও।
উঃ তদ্ভব শব্দ হল যা বিবর্তনের মাধ্যমে সংস্কৃত থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। যেমনঃ ভক্ত > ভত্ত> ভাত
সংস্কৃত ভাষা থেকে যে শব্দগুলি সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে কিন্তু শব্দগুলির যথাযথ রূপ রক্ষা পায়নি, বিকৃত হয়ে গেছে, তাদের অর্ধতৎসম শব্দ বলে। যেমন: নিমন্ত্রণ শব্দটি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসে ‘নেমন্তন্ন’ হয়ে গেছে।
৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৫.১ ‘ঋ, র, য এই তিন বর্ণের পরের শব্দের মধ্যে ন >ণ হয়। প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও।
উ:- ঋণ, বর্ণ, স্মরণ, বরণ, তৃণ, শীর্ণ ঘৃণা ইত্যাদি ।
৫.২ ‘পিতৃ ও মাতৃ শব্দের সঙ্গে স্বস্ শব্দের যোগ হলে স্বসৃ শব্দের প্রথম স্ হয় য’। – উদাহরণ দাও।
উ:- মাতুঃষ্বাসা বা মাতৃষ্বাসা [ মাতুঃ + স্বস্, মাতৃ + স্বস্ ] – এর বাংলা অর্থ হলো – মায়েরভগিনি, মাসি ।
পিতৃস্বাসা( পিতৃ + স্বস্)- এর বাংলা অর্থ হলো- বাবার ভাই- কাকু, জেঠু ।
৫.৩ ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রয়োগে একটি বাক্য রচনা করো।
উ:- বাগানে টকটকে লাল জবা ফুল ফুটেছে। এখানে টকটকে হল ভাবপ্রকাশ ধন্যাত্মক শব্দ।
৫.৪ শূন্যস্থান পূরণ করো : ___________ > তিত > তেতো।
উ:- তিক্ত > তিত > তেতো ।
৫.৫ বানান সংশোধন করো : পূরষ্কার।
উ:- পূরষ্কার > পুরস্কার ।
৬. পত্র রচনা করো :
তোমাদের অঞ্চলে একটি পাঠাগার স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে একটি আবেদনপত্র লেখো।
উ:-
Answer pdf provide korun please.