Thursday, March 28, 2024
HomeClassesClass 7Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 7| History | Part- 8 মডেল...

Model Activity Task 2021 Compilation(Final) Class 7| History | Part- 8 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১ সপ্তম শ্রেণী | ইতিহাস | পার্ট – ৮|

Model Activity Task 2021 Compilation(Final)

Class 7| History | Part- 8

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক কম্পিলেশন ২০২১

সপ্তম শ্রেণী | ইতিহাস | পার্ট – ৮|

৫০ Marks

১. ‘স্তম্ভের সাথেস্তম্ভ মেলাও :

:-

স্তম্ভ স্তম্ভ
১.১ খলিফার অনুমোদন (গ) ইলতুৎমিশ
১.২ সিজদা ও পাইবস (ক) গিয়াসউদ্দিন বলবন
১.৩ বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ঘ) আলাউদ্দিন খলজি
১.৪ আমুক্তমাল্যদ (খ)কৃষ্ণদেব রায়

. বেমানান শব্দটির নিচে দাগ দাও :

. বিজয়ালয়, দন্তিদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম রাজেন্দ্র 

. বরেন্দ্র, হরিকেল, কনৌজ, গৌড় 

. হলায়ুধ, জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর 

. প্রতাপাদিত্য, কেদার রায়, ইশা খান, বৈরম খান 

. শূন্যস্থান পূরণ করো

. বন্দেগানইচিহলগানির সদস্য ছিলেন সুলতান ___গিয়াসউদ্দিন বলবন ________

. বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন _____সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ ______ 

. পোর্তুগিজ পর্যটক ___পেজ________ বিজয়নগর পরিভ্রমন করেন। 

. বিজয়নগর পরাজিত হয়েছিল  ____১৫৬৫ খ্রি: তালিকোটার _______ যুদ্ধে। 

.. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :

.দাগহুলিয়াব্যবস্থা চালু রাখেন শেরশাহ। 

:- সত্য 

. ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে হলদিঘাটির যুদ্ধে আকবর রানা প্রতাপকে পরাজিত করেছিলেন। 

:- সত্য 

. মনসবদারি জায়গিরদারি ব্যবস্থা বংশানুক্রমিক ছিল।

:- মিথ্যা 

. রাজিয়া তার মুদ্রায় নিজেকেসুলতানবলে দাবি করেছেন। 

:- সত্য 

. দুইতিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

.দীন ইলাহিকী?

উঃ- আকবরের প্রশাসনিক আদর্শ তৈমুরীয়,পারসিক ও ভারতীয় রাজতন্ত্রের সংমিশ্রন ছিল। এই আদর্শে বাদশাহ ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী শাসন করবেন এবং প্রজাদের প্রতি তার পিতৃসুলভ ভালোবাসা থাকবে।কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি তার পক্ষপাত থাকবে না। সকলের প্রতি সহনশীলতা ও সকলের জন্য শান্তির এই পথকেই বলা হয় সুলহ- ই – কুল।এই আদর্শের ভিত্তিতে আকবর সকল ধর্মের সারবস্তুর সমন্বয় করে একটি ব্যক্তিগত ধর্মমত গড়ে তুলেছিলেন, একেই দীন-ই-ইলাহি বলা হয়।

.মনসব কী

:- আকবর সামরিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করেন। সেটি ছিল তার মনসবদারি ব্যাবস্থা। আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হতো মনসব।

. চারপাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

. পালসেন যুগে কেমন ভাবে কর আদায় করা হত

:- ভূমিকাপাল ও সেনযুগে রাজারা বিভিন্ন ধরনের কর সংগ্রহ করতেন।

কৃষি কর :রাজারা উৎপন্ন ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ (১/৬ ভাগ)। কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন। তাঁরা নিজেদের ভোগের জন্য ফুল, ফল, কাঠ ও প্রসাদের কাছ থেকে কর হিসাবে আদায় করতেন।

বাণিজ্য কর :বণিকরা তাদের ব্যাবসাবাণিজ্য করার জন্য বাসাকে কর দিত।

অন্যান্য করএছাড়াও প্রজারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজাকে কর দিত। সমগ্র গ্রামের উপবেও কর দিতে হতো গ্রামবাসীদের। হাট ও খেয়াঘাটের , উপবে কর চাপানো হতো৷

. সেন রাজারা কি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন

উঃ হ্যাঁ, সেন রাজারা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । সেন রাজা লক্ষনসেনের আমলের বিখ্যাত কবি ছিলেন জয়দেব। এছাড়া ধোয়ী, গোবর্ধন, উমাপতিধর এবং শরণ নামে আরো চারজন কবি ছিলেন। এমনকি রাজা বল্লালসেন ও রাজ লক্ষনসেন দুজনেই স্মৃতিশাস্ত্র লিখেছিলেন। তাছাড়া লক্ষনসেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষয়ে ব্রাহ্মণসর্বজ্ঞ নামে একটা বই লিখেছিলেন।

. ইকতা ব্যবস্থা কী

উত্তরঃ ইকতা ব্যবস্থা: সুলতানরা ক্রমাগত রাজ্য জয় করায় সাম্রাজ্যের আয়তন বেড়ে যাওয়ায় সুলতানরা যে সব রাজ্য জয় করতেন, সেই রাজ্যগুলির দায়িত্ব এক একজন সামরিক নেতার উপর দেওয়া হত। এই রাজ্যগুলিকে এক একটি প্রদেশের মতো ধরে নেওয়া হত, এগুলিকে বলা হত ইকতা। ইকতার দায়িত্বে যিনি থাকতেন তাকে বলা হত ইকতাদার বা মুক্-তি বা ওয়ালি।

. খলজি বিপ্লব বলতে কী বোঝ?

:- ১২৯০ খ্রিঃ হিন্দুস্থানি মুসলিমদের নেতা ও সাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি জালালউদ্দিন খলজি বলবনের বংশধর অসুস্থ কায়কোবাদ ও শিশু কায়ুমার্সকে হত্যা করে দিল্লির সুলতান হন| এই ঘটনাকে বলা হয় “খলজি বিপ্লব’| এর ফলে দিল্লিতে তুর্কি অভিজাতদের ক্ষমতা চলে যায়| তার বদলে খলজি তুর্কি ও হিন্দুস্তানিদের ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছিল।

.দাক্ষিণাত্য ক্ষতবলতে কী বোঝো?

উঃ-খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে ঔরংজেব ভেবেছিলেন যে দক্ষিণী রাজ্যগুলিকে জয় করতে পারলে সেখান থেকে অনেক রাজস্ব আদায় করা যাবে। বাদশাহ ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি ও মারাঠা নেতা শিবাজিকে দমন করার জন্য রাজধানী ছেড়ে প্রায় ২৫ বছর দক্ষিণ ভারতে কাটিয়েছিলেন। কিন্তু বাদশাহ যা ভেবেছিলেন তা হল না।দীর্ঘ রক্ত ও অর্থক্ষয়ী যুদ্ধের পরেও মারাঠা রাজ শিবাজিকে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নিতে হয়েছিল।এর ফলে মোগলদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হল, একেই দাক্ষিণাত্য ক্ষত বলে । ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মোঘল সাম্রাজ্যের পতনে এই ‘দাক্ষিণাত্য ক্ষত’ অনেকাংশেই দায়ী ছিল।

. আটদশটি বাক্যে উত্তর দাও

. বখতিয়ার খলজির বাংলা আক্রমণের পর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল

উঃ আনুমানিক ১২০৪ খ্রিস্টাব্দের শেষে বা ১২০৫ খ্রিস্টাব্দের প্রথমদিকে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খলজি বাংলার নদিয়া দখল করেছিলেন। সেই থেকে বাংলার তুর্কি শাসন শুরু হয়েছিল। এরপরে বাংলাতে যে পরিবর্তনগুলি ঘটে সেগুলি হল-

i)বখতিয়ার নদিয়া ছেড়ে লক্ষণাবতী অধিকার করে রাজধানী স্থাপন করেন। এই শহরকে সমকালীন ঐতিহাসিকরা লখণৌতি বলে উল্লেখ করেছেন।

ii)বখতিয়ার খলজি নিজের নতুন রাজ্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগের জন্য একজন করে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। এইসব শাসনকর্তারা ছিলেন তার সেনাপতি।

iii)বখতিয়ার খলজি লখণৌতিতে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং সুফি সাধকদের আস্তানা তৈরি করে দেন।

iv)বখতিয়ার খলজি লখণৌতি রাজ্যের সীমানা উত্তরে দিনাজপুর জেলার দেবকোট থেকে রংপুর শহর , দক্ষিণে পদ্মা নদী, পূর্বে তিস্তা ও করতোয়া নদী পর্যন্ত তার রাজত্বের সীমা বাড়িয়ে নিয়ে ছিল।

. কৃয়দেব রায়কে কেন বিজয়নগরের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়

:- উত্তরঃ কৃষ্ণদেব রায় ছিলেন বিজয়নগরের রাজ্যের বিখ্যাত শাসক। তার রাজত্বকালে বিজয়নগরের গৌরব সবথেকে বেড়েছিল। সে সময়ে সাম্রাজ্যের সীমা বেড়েছিল। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসার হয়েছিল। এছাড়াও শিল্প-সাহিত্য, সংগীত এবং দর্শনশাস্ত্রের উন্নতি তার সময় লক্ষ্য করা যায়। কৃষ্ণদেব রায় নিজেও একজন সাহিত্যিক ছিলেন। তেলেগু ভাষায় লেখা আমুক্তমাল্যদ গ্রন্থে তিনি রাজার কর্তব্যের কথা লিখেছেন। বিজয়নগরের রাজাদের মধ্যে তিনি সর্বাপেক্ষা পন্ডিত এবং সর্বোত্তম একজন মহান শাসক এবং সুবিচারক সাহসী সর্বগুনম্বিত ছিলেন, একথা বলেছিলেন পর্তুগিজ পর্যটক পেজ। এই সমস্ত কারণগুলোর জন্যই কৃষ্ণদেব রায়কে বিজয় নগরের শ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়।

. শেরশাহের যেকোনো দুটি প্রশাসনিক সংস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

শের শাহের প্রশাসনিক সংস্কার

.ভূমিরাজস্ব : ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শের শাহ অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি পাট্টা’ ও ‘কবুলিয়ত’ ব্যবস্থা চালু করেন। শের শাহ কৃষককে কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার এবং তাকে কত রাজস্ব দিতে হবে তা লিখে যে দলিল দিতেন, তাকে পাট্টা বলা হত। পাট্টাপ্রাপ্ত কৃষকরা রাজস্ব দেওয়ার কথা স্বীকার বা কবুল করে সরকারকে যে দলিল সই করে দিত, তাকে কবুলিয়ত বলা হত।

.যোগাযোগ ব্যবস্থা : যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুদীর্ঘ ও প্রশস্ত রাজপথ নির্মাণ শের শাহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তিনি পূর্ববঙ্গের সোনারগাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত ১৪০০ মাইল দীর্ঘ পথ নির্মাণ করেন, যা সড়ক-ই আজমস’ বা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা জি টি রোড নামে পরিচিত। তিনি আগ্রা থেকে বুরহানপুর ও আগ্রা থেকে যোধপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করেন। তিনি পথিক ও বণিকদের সুবিধার জন্য রাস্তার ধারে ধারে অনেক সরাইখানা নির্মাণ করেছিলেন। তিনিই প্রথম ঘোড়ার পিঠে ডাক আদানপ্রদানের ব্যবস্থা করেন।

 Click Here To Download The Pdf

RELATED POSTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Recent Posts

error: Content is protected !!